ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে মায়ের ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন রাহুল গান্ধী! সনিয়ার পদত্যাগ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
চলছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়েছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। আর এই বৈঠকের শুরুতেই সনিয়া গান্ধী পদ ছাড়তে চান বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, আজ বৈঠকের শুরুতেই তাঁর পরিবর্ত খুঁজতে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের বলেন সনিয়া গান্ধী। কিন্তু, তাঁরই এই পদে থাকা উচিত বলে পরামর্শ দেন মনমোহন সিং।
কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের চিঠিতে বিরক্ত সনিয়া
সনিয়া গান্ধী দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর কাটতে না কাটতেই আবারও দলের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের দাবি জানায় শীর্ষ নেতৃত্ব। ২৩ জন শীর্ষনেতা এই মর্মে সনিয়া গান্ধীকে চিঠিও লিখেছিলেন। পাশাপাশি তাঁরা ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের জন্যও আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁদের চিঠির উত্তরে সনিয়া গান্ধী জানিয়েছিলেন, বৈঠক হবে। সকলে মিলে নতুন সভাপতির খোঁজ করা হবে।
চিঠি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেল কীভাবে?
এদিকে কীভাবে সনিয়া গান্ধীকে দেওয়া দলের শীর্ষ নেতাদের চিঠি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কে সি বেণুগোপাল। এর আগে সনিয়া গান্ধীর পদত্যাগের জল্পনা উড়িয়ে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেছিলেন, 'এই তথ্য সঠিক নয়।' তবে সূত্রের খবর, ২০ জনেরও বেশি শীর্ষ কংগ্রেস নেতার 'সক্রিয় নেতৃত্ব'-র দাবিতে দেওয়া চিঠি নিয়ে বিরক্ত সনিয়া গান্ধী।
সনিয়ার ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন রাহুল গান্ধী
এবিষয়ে এদিন মুখ খোলেন রাহুল গান্ধীও। যদিও তিনি নিজে সভাপতি পদে নতুন মুখের দাবি করে এসেছেন, তাও এই চিঠি দেওয়ার সময় নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। রাহুলের দাবি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে যেভাবে দল সংকটে পড়েছিল, এবং এই একই সময় সনিয়ার যেভাবে শারীরিক অবস্থার অবনতী হয়; এরকম পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই চিঠি তখন দেওয়া উচিত হয়নি। শুধু তাই নয়, যএ কংগ্রেস নেতারা এই চিঠি লিখেছেন, তাঁরা বিজেপিকে মদত করছেন বলেও অভিযোগ করেন রাহুল।
চিঠির নেপথ্যে কাঁরা?
এদিকে যে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে তাতে স্বাক্ষর রয়েছে কপিল সিব্বল, শশী থারুর, গুলাম নবী আজাদ, পৃথ্বীরাজ চৌহান, বিবেক তানখা এবং আনন্দ শর্মার মতো প্রবীণ নেতাদের। দাবি করা হয়েছে, রাহুল গান্ধী যদি দলের সভাপতি পদ গ্রহণে ইচ্ছুক না হন তবে দলের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে উপযুক্ত নেতা বেছে নেওয়া হোক ৷ সংগঠনের শীর্ষনেতৃত্ব থেকে তৃণমূলস্তর,সব জায়গাতেই আমূল সংস্কারেরও দাবি তুলেছেন কংগ্রেসের ওই পোডখাওয়া প্রবীণ নেতারাই৷
চিঠিটি কংগ্রেসের মধ্য়েই বিভেদ তৈরি করেছে
এই চিঠিটি কংগ্রেসের মধ্য়েই বিভেদ তৈরি করেছে। কিছু নেতা যেমন নতুন মুখ চাইলেও অমরিন্দর সিং, ভূপেশ বাঘেল এবং সিদ্দারামাইয়ার মতো নেতারা রাহুল গান্ধীর হয়েই কথা বলেছেন। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং রবিবার সন্ধ্যায় বলেন, 'সনিয়া গান্ধীর উচিত যতক্ষণ সম্ভব এই কাজ চালিয়ে যাওয়া; তারপর রাহুল গান্ধীকেই দায়িত্ব দেওয়া উচিত।'
প্রকাশ্যে কংগ্রেসের ভগ্নদশা
২০১৮-র শেষের দিকে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে ভালো ফল কংগ্রেসের। তিন রাজ্যে একক জয়। এক রাজ্যে যৌথভাবে। কোথাও যেন আত্মবিশ্বাস ফিরে পাচ্ছিল কংগ্রেস। মনে জোর নিয়ে লড়ে লোকসভাতেও। কিন্তু, লোকসভার ফল কার্যত হতাশ করে তাদের। কংগ্রেসের ভরাডুবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। দলের ভোট বাক্সের খরা কাটাতে উদ্যোগী হয় কংগ্রেস। সভাপতির পদ ছাড়েন রাহুল গান্ধী। তাঁর পদত্যাগের পর আরও প্রকট হয় দলের ভগ্নদশা৷
গভীর কোমায় আচ্ছন্ন কিম জং উন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতা এবার বোনের হাতে!