ক্ষমতাসীন মানসিকতার অভাব রয়েছে রাহুল গান্ধীর : দিগ্বিজয় সিং
গোয়াতে একটি কেবিল টিভির অনুষ্ঠানে শনিবার সম্প্রচারিত দিগ্বিজয় সিংয়ের সাক্ষাতকার দেখায়। সেই খবর অনুযায়ী, দিগ্বিজয় সিং এও বলেন, লোকসভায় দলকে নেতৃত্বের দায়িত্ব রাহুলের নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু রাহুল গান্ধী তা করেননি বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
কংগ্রেসের এই বরিষ্ঠ নেতার কথায়, শাসন করার বা ক্ষমতায় থাকায় মানসিকতার অভাব রয়েছে রাহুল গান্ধীর মধ্যে। তাঁর মানসিকতা শুধু অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার। কিন্তু ক্ষমতায় আসতে গেলে সেই মানসিকতা নিয়ে শুধু চললে হয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
'কংগ্রেস সহসভাপতি রাহুল গান্ধীরই উচিত ছিল প্রধান বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব সামলানো'
লোকসভা নির্বাচনে জঘন্য হারের পর কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এবং স্বভাবতই দায় বর্তায় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর উপর। বিশেষ করে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস মুখ হিসাবে বারবার তুলে ধরা হয়েছিল রাজীব পুত্রকে। তাঁর নেতৃত্বেই কংগ্রেস নির্বাচনী প্রচার লড়েন। ফলে স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে রাহুলের যোগ্যতা। নির্বাচনের পর একাধিক আঞ্চলিক কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধ মুখ খুলে কংগ্রেসের তোপের মুখে পড়েছে। এমন সময় দলের বরিষ্ঠ নেতা দিগ্বিজয় সিংয়ের এ হেন মন্তব্য কংগ্রেসকে তথা সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলেছে।
দিগ্বিজয় সিং দলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পাশাপাশি গোয়ার দায়িত্বেও রয়েছেন। প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্যের সঙ্গে বৈঠক ও গোয়াতে দলের কাজ কীভাবে চলছে তা খতিয়ে ২ দিনের সফরে গোয়া গিয়েছেন দিগ্বিজয় সিং।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, লোকসভায় প্রধান বিরোধী নেতা হওয়ার দায়িত্ব নিজে গ্রহণ না করে কর্ণাটকের দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা মল্লিকার্জুন খার্গেকে দায়িত্ব দিয়ে দেওয়ায় রাহুল গান্ধীর সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও ক্ষুব্ধ দিগ্বিজয় সিং। তারই প্রতিফলন তাঁর বক্তব্যে ধরা পড়েছে।
ক্ষুব্ধ দিগ্বিজয় সিং আরও জানিয়েছেন, গণতন্ত্রে বিরোধীদের জায়গাটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কংগ্রেস যেহেতু সংখ্যাগরিষ্ঠ বিরোধী পক্ষ, সেক্ষেত্রে আমাদের কংগ্রেস সহসভাপতি রাহুল গান্ধীরই উচিত ছিল প্রধান বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব সামলানো।