রাহুল গান্ধীর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিন ভারতীয় বাবা-মায়েরা
সম্প্রতি 'টাইমস নাও' টিভি চ্যানেলে রাহুল গান্ধীর ইন্টারভিউ যেন বিপর্যয় ডেকে আনল। গোটা দেশ উপলব্ধি করল, তিনি ভুল জায়গায় ভুল লোক!
এ ব্যাপারে মনে পড়ে যাচ্ছে জন এফ কেনেডির কথা। তিনি বলেছিলেন, "মায়েরা চায় তাদের সন্তানরা রাষ্ট্রপতি হোক। কিন্তু, তার আগে যে রাজনীতিবিদ হতে হবে, এটা চায় না।"
টিভি-তে রাহুল গান্ধীর ইন্টারভিউ হতাশাজনক। ইউপিএ সরকারের পারফরম্যান্স, কেলেঙ্কারি, দাঙ্গা ইত্যাদি নিয়ে তাঁকে যা জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, তিনি কিছুই সন্তোষজনকভাবে বলতে পারেননি। যিনি ১২০ কোটি মানুষের দেশে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তাঁর থেকে অন্তত একটু ইতিবাচক আশা করাটা অন্যায় নয়।
আমি তো বলব, এই অবস্থার জন্য সোনিয়া গান্ধীই দায়ী। রাহুল গান্ধী হাসির খোরাক হচ্ছেন তাঁর কারণে। এটা থেকে সব বাবা-মায়ের শেখা উচিত। তিনি যোগ্যও নন, দূরদৃষ্টিও তাঁর নেই। ভারতীয় বাবা-মায়েরা সন্তানকে নিয়ন্ত্রণ করাটা নিজেদের অধিকার বলে মনে করেন। এর ফলে সন্তানদের ব্যক্তিত্ব বিকশিত হয় না। এই সমস্যা এখন সর্বব্য়াপী। আমি দেখেছি ব্যক্তিত্বহীন লোক সব জায়গায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কর্পোরেট কোম্পানির সিইও, অভিনেতা, আইনজীবী, চিকিৎসক, সব্বাই হলেন এই উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ব্যক্তিত্বহীনতার শিকার।
রাহুল গান্ধীকে দেখলে দুঃখ হয়। তিনি যে জায়গায় আজ রয়েছেন, সেই আসনের যোগ্য নন। তিনি গর্বহীন ক্ষমতাবান, আত্মসম্মানহীন প্রভাবশালী, অবুঝ দার্শনিক। ওই যে বললাম, আমাদের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ব্যক্তিত্বহীনতা, তারই শিকার রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধী কিংবা দেশের কী হবে, সেটা নিয়ে সবাই ভাবুক। পাশাপাশি ভাবতে হবে, আমাদের নিজেদের সন্তানদের ব্যাপারে। আমরাও আমাদের সন্তানদের এমন জায়গায় ঠেলে দিচ্ছি না তো, যা তাদের উপযুক্ত নয়? তাদের গর্ববোধ, আত্মসম্মানকে নষ্ট করে উচ্চাকাঙক্ষা ও লোভের যূপকাষ্ঠে চড়াচ্ছি না তো? তাদেরকে কি তাদের মতো বড় হতে দিচ্ছি?
রাহুল গান্ধী হলেন সোনিয়ার উচ্চাকাঙক্ষার শিকার। আমাদের সন্তানরা আমাদের উচ্চাকাঙক্ষার শিকার নয় তো?