বিশেষ নিরাপত্তা উঠে যাওয়ার মুহূর্তে এসপিজির উদ্দেশ্যে আবেগঘন টুইট বার্তা রাহুল গান্ধীর
ইন্দিরা পরিবারের বিশেষ এসপিজি নিরাপত্তা বেষ্টনী তুলে নেওয়াকে ইতিমধ্যেই বিজেপির “চূড়ান্ত ব্যক্তিগত প্রতিশোধ স্পৃহা” বলে দাগিয়েছে কংগ্রেস। এবার এই ইস্যুতেই শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনের বাইরে কয়েকশ কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভে সামিল হতে দেখা গেল।
এই প্রসঙ্গে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কেসি ভেনুগোপাল দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন. “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় কবলে পড়ে অন্ধ হয়ে গেছেন। অযাচিত ভাবে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর এসপিজি নিরাপত্তা অপসারণ থেকেই মাধ্যমেই তা প্রমাণিত হয়েছে। ”
১৯৮৮ সালে ভারতীয় সংসদে প্রথম এই আইনটি পাশ হয়। এসপিজি আইনটিতে প্রাথমিকভাবে কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকেই সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। পরবর্তীকালে রাজীব গান্ধীর উপর হওয়া আত্মঘাতী হামলার পরে এই আইনটি সংশোধন করা হয়। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কংগ্রেসের এই বরিষ্ঠ নেতা বলেন, “প্রাক্তন দুই প্রধানমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধীর হত্যার পর তাদের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্যই এসপিজি আইনটির সংশোধন করা হয়েছিল। সংশোধন করেছিল তদানন্তীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্যই মোদী এবং শাহ এখন এটিকে বাতিল করে দিয়েছেন। ”
সম্প্রতি বিজেপি সরকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের উপর থেকেও এসপিজি সুরক্ষা তুলে নেয়। বর্তমানে দেশের মধ্যে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই কেবল এসপিজি কমান্ডোদের দ্বারা সুরক্ষিত ব্যক্তি। ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ আহমেদ প্যাটেল বিজেপিকে একহাত নিয়ে বলেন, “বিজেপি দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের জীবনের সঙ্গে আপস করছে।”