কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের দিনেও ভারত পরিক্রমা রাহুলের! তবে কি ভোট দেবেন না
কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের দিনেও ভারত পরিক্রমা রাহুলের! তবে কি ভোট দেবেন না
কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের দিন দিল্লিতে উপস্থিত থাকছেন প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি ব্যস্ত থাকবেন কর্নাটকে ভারত জোড়ো যাত্রায়। তবে কি তিনি এবার ভোট দেবেন না কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে? না তিনি ভোট দেবেন। তাঁর সঙ্গী আরও ৪০ ভোটাধিকারীও ভোট দেবেন। তাঁরা ভারত জোড়ো যাত্রাও করবেন, আবার ভোটও দেবেন, কী উপায়ে তা জানিয়েছেন স্বয়ং রাহুল গান্ধী।
ভারত জোড়ো যাত্রার মঞ্চ থেকেই ভোট রাহুলের!
২২ বছর পর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সোমবার সেই নির্বাচনের দিনেও রাহুল গান্ধী মনস্থ করেছেন তিনি ভারত জোড়ো যাত্রায় পথ পরিক্রমা করবেন। তাহলে কী করে ভোট দেবেন তিনি? এই মূহূর্তে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ভার জোড়ো যাত্রা রয়েছে কর্নাটকের বেল্লারিতে। সেখানই একটি অস্থায়ী পোলিং বুথ করা হবে। সেই অস্থায়ী বুথে ভোট দেবেন রাহুল গান্ধী। ভোট দেবেন তার ভারত পরিক্রমার সঙ্গী ৪০ জনও।
সব গুঞ্জনে ইতি টেনে দিলেন জয়রাম রমেশ
পূর্ব ঘোষণা মতো সোমবার রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার রেস্ট ডে সোমবার। রেস্ট ডে হওয়া সত্ত্বেও তিনি ভারত জোড়ো যাত্রায় মঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছেন না। তিনি বেল্লারিতেই বিশ্রাম করবেন। সেখানেই ভোট দেবেন। কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না। সব গুঞ্জনে ইতি টেনে দিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা দলের প্রচার বিভাগের প্রধান জয়রাম রমেশ।
রাহুল গান্ধী দিল্লিতে যাবেন না, কর্নাটকেই থাকবেন
জয়রাম রমেশ টুইট করে জানিয়ে দেন, রাহুল গান্ধী দিল্লিতে না এলেও কর্নাটক থেকেই ভোট দেবেন। তাঁর সঙ্গে ভোট দেবেন আরও ৪০ জন ভারত পরিক্রমারত সদস্যরা। রাহুল গান্ধী দিল্লিতে না এলেও ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভোট দেবেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনি ভোট দেবেন দিল্লির আকবর রোডের সদর দফতরে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও সেখানেই ভোট দেবেন।
দুই প্রার্থীকেই সমানভাবে প্রচারের সুযোগ দিতে
২২ বছর পর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন হচ্ছে। এবার তাই নিরপেক্ষতা বজায় রেখে এই নির্বাচন করতে চাইছে কংগ্রেস। নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে বেশ কিছু নির্দেশিয়া জারি করা হয়েছে নির্বাচন পরিচালন কমিটির পক্ষ থেকে। নির্দেশিকার অন্যতম বিষয় ছিল- দলের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিরা নির্দিষ্টি কোনও প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে পারবেন না। দুই প্রার্থীকেই সমানভাবে প্রচারের সুযোগ দিতে হবে।
গান্ধী পরিবার ভোটদানে বিরত থাকবে, জল্পনা ছিল
কিন্তু নিরপেক্ষতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। মল্লিকার্জুন খাড়গেকে পরোক্ষে সমর্থন করছে গান্ধী পরিবার, এমন অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু গান্ধী পরিবারের তরফে তেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। পরবর্তী সময়ে গান্ধী পরিবার ভোটদানে বিরত থাকবে, এমন জল্পনাও শুরু হয়। যদিও সোনিয়া-রাহুলরা ভোট দেবেন বলে মনস্থ করেছেন।