লোকসভা ভোটের পর প্রথম অমেঠি সফর রাহুলের, কেমন আপ্যায়ণ পেলেন তিনি
অমেঠিতে হেরেছেন রাহুল গান্ধী, একথা মেনে নিতে পারেননি তিনিও। সেই শোকেই হয়তো বেশি তাড়া করে বেরিয়েছিল রাহুল গান্ধীকে।
অমেঠিতে হেরেছেন রাহুল গান্ধী, একথা মেনে নিতে পারেননি তিনিও। সেই শোকেই হয়তো বেশি তাড়া করে বেরিয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। সেকারণেই আরও বেশি করে সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় হয়েছেন তিনি। লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর আর অমেঠির নাম মুখ দিয়ে উচ্চারণ করেননি তিনি। সাংবাদিক বৈঠকে একবার শুধু বলেছিলেন, আশা করি অমেঠিবাসীকে ভাল রাখবেন। তারপরে একটি বারের জন্যও অমেঠির নাম উচ্চারণ করেননি তিনি। একটা অভিমান যে হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলাফল প্রকাশের পর অমেঠি যাওয়ার নাম করেননি তিনি। ছুটে গিয়েছিলেন ওয়ানাড়ে। সেখানকার বাসিন্দারাই তাঁর মুখ রক্ষা করেছেন। ওয়ানাড় না জেতালে এবার আর সংসদে যেতে পারতেন না রাহুল গান্ধী। তাই সবার আগে সেখানে গিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
তবে তিনি যে মানসিক ভাবে হেরে যাননি সেটা জানান দিতেই অমেঠি সফরের সিদ্ধান্ত নেন। বুধবার লোকসভাভোটের পর এই প্রথম অমেঠি গেলের রাহুল গান্ধী। মুখোমুখি হলেন সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে। সেখানকার কংগ্রেস নেতা কর্মীরা রাহুলকে স্বাগত জানান। তবে আগের মতো উচ্ছ্বাস চোখে পড়েনি। দলের মুষরে পড়া নেতা কর্মীদের রাহুল আশ্বস্ত করে বলেছেন, তিনি তাঁদের অনাথ করে চলে যােবন না। এখন তিনি ওয়ানাড়ের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। কিন্তু তা বলে অমেঠির উন্নয়ন থমকে যাবে না। দিল্লিতে থেকেই তিনি অমেঠির জন্য লড়াই চালাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন:কর্ণাটক-নাটক ঘনীভূত! মুম্বইতে আটক গুলাম নবি আজাদ,শিবকুমার]
অমেঠিতে পৌঁছেই রাহুল টুইটে লিখেছিলেন, এখানে এসে মনে হচ্ছে অনেকদিন পর বাড়িতে ফিরলাম। অমেঠি আমার কাছে বাড়ির মতোই। সেখানে উপস্থিত কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরাও বারবার রাহুলকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরিয়ে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। ১৯৯৯ সাল থেকে উত্তর প্রদেশে এই কেন্দ্র থেকে জিতে আসছেন গান্ধী পরিবারের কেউ না কেউ। তাই অমেঠিতে রাহুলের হেরে যাওয়া একটা বড় ধাক্কা কংগ্রেসে।