দেশের গণতন্ত্র মৃত, কৃষি আইন ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে অলআউট আক্রমণে রাহুল গান্ধী
২০ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভের মাঝেই রাজ্যসভায় পাশ হয় কৃষি বিল৷ ওই দিন ডেপুটি চেয়ারম্যানকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। বিক্ষোভের নামে অসংসদীয় আচরণের অভিযোগ ওঠে কয়েকজন সাংসদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি রাজ্যসভা টিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। সেক্ষেত্রে যে তথ্য সামনে আসছে তার সঙ্গে সরকারের বয়ানে যথেষ্টই পার্থক্য রয়েছে।

কৃষকদের কাছে মৃত্যুদণ্ডের সমান এই বিল
আর এই ফুটেজ নিয়ে তৈরি হওয়া নয়া বিতর্ক ইস্যুতেই এবার কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী৷ আজ একটি টুইট করেন রাহুল গান্ধী৷ সেখানে কংগ্রেস সাংসদ লেখেন, কৃষি আইন আমাদের দেশের কৃষকদের কাছে মৃত্যুদণ্ডের সমান৷ সংসদ এবং তার বাইরেও তাদের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে৷

কৃষি বিল পাশের সময় সংসদের নিয়ম আদৌ মানা হয়েছিল?
কৃষি বিল পাশের সময় সংসদের নিয়ম আদৌ মানা হয়েছিল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি ছিল, নিয়ম মেনেই ভোট হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যসভা টিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। সেক্ষেত্রে যে তথ্য সামনে আসছে তার সঙ্গে সরকারের বয়ানে যথেষ্টই পার্থক্য রয়েছে। এই প্রতিবেদন তুলে আজ টুইটারে তিনি লেখেন, দেশের গণতন্ত্রের যে মৃত্যু হয়েছে এটাই (সঙ্গে রাজ্যসভার সেই ফুটেজের ছবি) তার প্রমাণ৷

রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানকে হেনস্থার অভিযোগ
২০ সেপ্টেম্বর রাজ্যসভায় কৃষি বিল পাশের সময় ডেপুটি চেয়ারম্যানকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। বিক্ষোভের নামে অসংসদীয় আচরণের অভিযোগ ওঠে কয়েকজন সাংসদের বিরুদ্ধে। কিন্তু গতকাল রাজ্যসভার অধিবেশনের একটি ভিডিও ফুটেজ সামনে আসে। যার সঙ্গে সরকারের বয়ানের পার্থক্য রয়েছে। আর এরপরই সেদিন বেলা ১২টা ৫৬ মিনিট থেকে দুপুর ১টা ৫৭ মিনিট পর্যন্ত ঠিক কী হয়েছে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিতে গিয়ে ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ সিং নারায়ণ বলেন, কাগজ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ডেরেক।

দাবি-পাল্টা দাবি
কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি ছিল, নিয়ম মেনেই ভোট হয়েছে। যদিও বিরোধীদের বক্তব্য ভিন্ন। ডিএমকে সাংসদ ত্রিচি শিবা এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সাধারণত সব পক্ষের মতামত নিয়ে অধিবেশনের সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু সেদিন বিরোধীদের দিকে একবারও তাকাননি ডেপুটি চেয়ারম্যান। শুধু ট্রেজারি বেঞ্চের দিকে তাকিয়েই সময় বাড়িয়ে দেন। এর ফলে রাজ্যসভার ৩৭ নম্বর নিয়মের লঙ্ঘন হয়েছে।

কী দেখা যায় রাজ্যসভা টিভিতে?
অন্যদিকে রাজ্যসভা টিভির ফুটেজে দেখা যায়, ডিভিশন ভোটের দাবি জানানোর সময় সাংসদরা তাঁদের আসনেই ছিলেন। ১টা ১০ মিনিটের ফুটেজে দেখা যায়, সাংসদ ত্রিচি শিবা তাঁর আসনেই রয়েছেন। ডিভিশন ভোটের দাবি জানাচ্ছেন। সাংসদ কেকে রাগেশ দুপুর ১টা ১১-তে তাঁর আসনে ছিলেন। তিনিও ডিভিশন ভোটের দাবি জানান। কিন্তু ধ্বনিভোটে তাঁর দাবি উপেক্ষিত হয়।