কেন্দ্র কী করে পরীক্ষার বোঝা চাপাতে পারে? NEET-JEE ইস্যুতে ছাত্রদের উস্কাতে টুইট রাহুলের
নিট-জেইই পরীক্ষা পিছোনোর দাবিতে আজ সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন। প্রসঙ্গত, করোনা আবহে ১ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষা জেইই-মেন এবং ১৩ সেপ্টেম্বর ডাক্তারি প্রবেশিকা নিট-ইউজি আয়োজনের ঘোষণার পর থেকেই এর বিরুদ্ধে সরব পড়ুয়া এবং বিরোধী দলগুলির একাংশ। আর এই ইস্যুতেই এবার ছাত্রদের আরও উস্কে দিতে টুইট করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
কেন্দ্রকে ঠুকে রাহুল গান্ধীর প্রশ্ন
এদিন ছাত্রদের উদ্দেশ্যে একটি টুইটে কেন্দ্রকে ঠুকে রাহুল গান্ধী প্রশ্ন করেন, 'এভাবে কী করে তোমদের উপর সরকার পরীক্ষার বোঝা চাপিয়ে দিতে পারে?' এরপর টুইটে রাহুল আরও লেখেন, 'আসুন ঐক্যবদ্ধ হই। শিক্ষার্থীদের কথা শোনার জন্য সরকারকে বাধ্য করি।' প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদী সরকারের অনড় অবস্থানের ফলে কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থীকে ভুগতে হচ্ছে। তাই তাঁদের জন্য আন্দোলনে নেমেছে কংগ্রেস।
জেইই এবং নিট পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ
এদিন টুইটারে রাহুল লেখেন, 'জেইই এবং নিট পরীক্ষার্থীরা তাঁদের স্বাস্থ্য এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাঁদের উদ্বেগের কারণ করোনা সংক্রমণের ভয়, অতিমারী পরিস্থিতিতে থাকা ও যাতায়াতের ব্যবস্থা এবং অসম ও বিহারের বন্যা পরিস্থিতি। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কথা শুনে সর্বজনগ্রাহ্য সমাধানসূত্র বের করা।'
বিরোধী দলগুলির বিরোধিতা
কংগ্রেস-সহ কয়েকটি বিরোধী দল এবং কয়েকটি ছাত্র সংগঠন নিট এবং জেইই পরীক্ষা পিছনোর দাবিতে এদিন বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এদিকে সুপ্রিমকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে ছ'টি অ-বিজেপি দল শাসিত রাজ্যের সরকার। তবে এত কিছুর মধ্যেও কেন্দ্রের সাফ দাবি পরীক্ষা হবে পূর্ব নির্ধারিত তারিখেই।
আইনি পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত
সনিয়া গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দুই দিন আগে বৈঠক করে কয়েকটি বিরোধী রাজ্য। ছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীও। আইনি পথে যাওয়ার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হয়। সেই মতো পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব সহ বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলি।
পরীক্ষার পক্ষে সওয়াল ১৫০ শিক্ষাবিদের
তবে এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন ১৫০-র বেশি শিক্ষাবিদ। মেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকার পরীক্ষার দিন না পিছানোর আবদেন জানান শিক্ষাবিদরা। তাঁরা লেখেন, 'কয়েকজন নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে খেলার চেষ্টা করছেন।' শুধুমাত্র ভারতের না, বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিদরাও চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে।
আরও ৫০ বছর বিরোধী আসনে বসবে কংগ্রেস, গান্ধী বিরোধিতার সুর চড়াচ্ছেন সিব্বল-আজাদ!