মোদীকে পড়ুয়াদের প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার চ্যালেঞ্জ, সাহসের পরীক্ষা দিতে বললেন রাহুল
কোন পথে চলবে আন্দোলন- তা স্থির করতে পর্যালোচনা বৈঠক ডেকেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। বৈঠকের পর নরেন্দ্র মোদীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন রাহুল। বললেন, সাহস থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মুখোমুখি হন।
দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভয়ানক। সিএএ প্রণয়নের পর এনআরসি আতঙ্ক বিরাজ করছে দেশে এই অবস্থায় বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু করেছে। কোন পথে চলবে এই আন্দোলন- তা স্থির করতে পর্যালোচনা বৈঠক ডেকেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। বৈঠকের পর নরেন্দ্র মোদীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন রাহুল। বললেন, সাহস থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মুখোমুখি হন।
রাহুল গান্ধী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় ও সৃষ্টি হওয়া বেকারত্বের কারণে ক্ষুব্ধ। প্রধানমন্ত্রীর উচিত পড়ুয়াদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সাহস দেখানো। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের হিয়ে বুঝিয়ে বলুন কেন দেশের অর্থনৈতিক হাল এই জায়গায় পৌঁছল।
রাহুল গান্ধী বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করছি, এই সাহস দেখাতে পারবেন না নরেন্দ্র মোদী। সাহস থাকলে তিনি বলুন, তিনি দেশকে নিয়ে কী করতে চান। দেশের মানুষের সঙ্গেই তিনি জানান তিনি কী চাইছেন। কেন দেশের এই হাল হল। তিনি টুইট বার্তায় মোদীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন এভাবেই।
তিনি টুইট করেন, মোদী সরকার জনবিরোধী নীতি নিয়ে চলছে। জনগণকে আচ্ছে দিন তো দিতে পারেননি নরেন্দ্র মোদী, উল্টে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন। সিএএ কার্যকর করে মোদী সরকার প্রমাণ করে দিয়েছে- এই সরকার জনবিরোধী নীতি নিয়ে চলছে। তার বিরোধিতা করার জন্য বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ।
ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের রূপরেখা তারি করতেই এদিন বিরোধী ২০ দল বৈঠকে বসেছিল দিল্লিতে। এই বৈঠক শেষে রাহুল গান্ধী বলেন, দেশে্র মানুষকে কর্মসংস্থান দিতে পারেনি মোদী সরকার, অর্থনীতির করুণ অবস্থা ৫০ বছরে হয়নি। তারপর একের পর এক জনবিরোধী নিতে নিয়ে দেশবাসীকে বিপাকে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এর বিরুদ্ধো সবাইকে একযোগে গর্জে উঠতে হবে।
উল্লেখ্য, এদিন নাগিরকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে সোনিয়া গান্ধী যে বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন, সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল-সহ ৬টি গুরুত্বপূর্ণ দল। অনুপস্থিত ছিল, তৃণমূল, সপা, বসপা, এনসিপি, শিবসেনা, আপের মতো দলগুলি।