‘বন্ধু’ জ্যোতিরাদিত্যের প্রস্থানে ‘স্পিকটি নট’ রাহুল, টুইটে নিশানা করলেন মোদীকে
দিল্লির রাজনীতিতে রাহুলের ডানহাত বলেই পরিচিত ছিলেন গোয়ালিয়রের মহারাজ জ্যোতিরাদিত্ সিন্ধিয়া। তাঁর সঙ্গে রাহুল গান্ধীর সখ্যতা ছিল প্রশ্নাতীত।
দিল্লির রাজনীতিতে রাহুলের ডানহাত বলেই পরিচিত ছিলেন গোয়ালিয়রের মহারাজ জ্যোতিরাদিত্ সিন্ধিয়া। তাঁর সঙ্গে রাহুল গান্ধীর সখ্যতা ছিল প্রশ্নাতীত। এমনতর এক সঙ্গীকে হারানোর পরও স্ফূর্তিতেই রয়েছেন তিনি। এখনও একটা কথাও বলেননি বন্ধু জ্যোতিরাদিত্য সম্বন্ধে। তবে কি অন্য কোনও সমীকরণ রয়েছে তাঁর!
রাহুলের মৌনতায় প্রশ্ন
প্রশ্নটা কিন্তু উঠে পড়েছে রাহুলের মৌনতা দেখে। জ্যোতিরাদিত্য ও মধ্যপ্রদেশ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের যাবতীয় প্রশ্ন সুচতুরভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী। শুধু এটুকুই জানিয়েছেন, সময় হয়নি বলার। সঠিক সময়েই তিনি বলবেন। কিন্তু তিনি মোদী সরকারকে বিঁধতে ছাড়েননি।
ভাঙতে সিদ্ধহস্ত মোদী
মধ্যপ্রদেশ সংকটের পরিস্থিতি টেনে তিনি টুইট করেন- মোদীজি, আপনি নির্বাচিত সরকারকে ভাঙতে সিদ্ধহস্ত। অস্থিতিশীলতা তৈরি করতেই ব্যস্ত থাকছেন দেশে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী তেলের দাম যে ৩৫ শতাংশ কমল, খেয়াল রেখেছেন কি! দেশের মানুষকে আপনি কি কিছু বার্তা দিয়েছেন?
টুইটে পরামর্শ রাহুলের
এরপরই তিনি তাঁর টুইটে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন মোদী সরকারের উদ্দেশ্য। তিনি লেখেন-মোদীজি, আপনি কি দয়া করে আমাদের দেশে পেট্রোলের দামকে লিটারে ৬০ টাকার নিচে নামিয়ে আনতে পারবেন। এখন তো আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশেধিত তেলের দাম ৩০ বছরের মধ্যে সবথেকে কম। তাহলে ভারতীয়দের উপকার করতে ওইটুকু করুন না।
ভাঙনের খেলা থেকে সরুন
রাহুলের কথায়, নির্বাচিত সরকার ভাঙনের খেলা থেকে সরে এসে পেট্রোলের দাম ৬০ টাকার নিচে নামানোর পদক্ষেপ নিয়ে ভারতীয় অর্থনীতির প্রভূত উন্নয়ন হবে। অর্থনৈতিক অস্থিরতা দূর হবে। আর আপনি নির্বাচিত সরকার ভাঙার পথ থেকে সরে এলে রাজনৈতিক অস্থিরতাও কাটবে।