অন্নদাতারা রাস্তায় নেমেছেন, মোদী টিভিতে মিথ্যা বলছেন! কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের তোপ রাহুলের
ফের কেন্দ্রকে তোপ রাহুল গান্ধীর। কৃষক আন্দোলন নিয়ে এদিন মোদীকে তোপ দেগে রাহুল টুইট করেন। তিনি টুইট বার্তায় লেখেন, 'অন্নদাতারা রাস্তায়, মাঠে নেমে ধরণা দিচ্ছে এদিকে টিভিতে মিথ্যাচার চলছে। আমরা কৃষকের কঠোর পরিশ্রমের কাছে ঋণী। জেগে অহঙ্কার ত্যাগ করুন। ভাবুন, কৃষককে তাঁদের অধিকার ফিরিয়ে দিন। কৃষকদের লাঠি মারবেন না, তাদের ন্যায়বিচার দিয়ে ঋণ চুকিয়ে দিন।'

বিরোধীদের তোপ দেগেছিলেন মোদী
এদিকে কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতায় কৃষকদের ডাকা 'দিল্লি চলো' অভিযানে কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্ত। এই বিক্ষোভ সামাল দিতে যথেষ্ট নাজেহাল হতে হচ্ছে শাহ-রাজনাথদের৷ এই নিয়ে গতকালই মন কী বাত অনুষ্ঠানেও বিরোধীদের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী৷ বারাণসীতে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধনে এসেও এনিয়ে বিরোধীদের তোপ দেগেছিলেন মোদী।

স্পিক আপ ফর ফারমার্স
এর আগে সোমবারই 'স্পিক আপ ফর ফারমার্স' কর্মসূচিতে যোগ দিতে সাধারণ মানুষের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী৷ কৃষকদের কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে করা প্রতিবাদ আন্দোলনের সমর্থনে এই আর্জি জানান তাঁরা৷

গত কয়েক মাস ধরে নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা৷ এনিয়ে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারকে নিশানা করে গত কয়েকদিনে একাধিক টুইট করে এই কৃষক প্রতিবাদের স্বপক্ষে মানুষের সমর্থন চান কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী৷

কৃষকদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছেন মোদী
রাহুল তাঁর টুইটে লেখেন, মোদী সরকার কৃষকদের উপর অত্য়াচার চালাচ্ছেন৷ প্রথমে তাঁরা কালো আইন আনলেন এবং তারপর কৃষকদের উপর বাহিনী ও লাঠি প্রয়োগ করলেন৷ কিন্তু, তাঁরা ভুলে গিয়েছেন, কৃষকরা যখন তাঁদের আওয়াজ তোলেন, তখন তা গোটা দেশে শোনা যায়৷ আমাদের কৃষকভাইদের সঙ্গে হওয়া অবিচারের প্রতিবাদ জানাতে 'স্পিক আপ ফর ফারমার্স' কর্মসূচিতে যোগ দিন৷

কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্র
ইতিমধ্য়ে কেন্দ্রের তরফে আন্দোলনে সামিল কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনার জন্য় প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷ তবে, সেই আলোচনার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি৷ কারণ কেন্দ্র মাত্র ৩২টি সংগঠনকে আলোচনা টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, আমন্ত্রিত ৩২টি সংগঠনের মধ্যে ৩০টি সংগঠন আলোচনায় যোগ দিতে উচ্ছুক। এদিকে এখনও কৃষকরা দিল্লি, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের একাধিক এলাকায় আন্দোলন বিক্ষোভ চালাচ্ছেন৷
