জিএসটি ইস্যুতে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব জারি, ফের রাহুল গান্ধীর নিশানায় প্রধানমন্ত্রী মোদী
গত মাস এবং আগামী মাস অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে কর ও ধার সংক্রান্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে। কেন্দ্রীয় সরকার আরও ১.৬ লক্ষ কোটি টাকা ধার নেওয়ার বিষয়ে সংসদের অনুমতি চেয়েছে। আর ১৩ টি রাজ্য এই ইস্যুতে ও জিএসটি ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিবাদের বিষয়ে ধার নেওয়ার সময়সীমা সংক্রান্ত সম্মতি চেয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে ফের রাজ্য়গুলিকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে তোপ দাগলেন রাহুল গান্ধী।

মোদী সরকারকে আক্রমণ রাহুলের
এদিন মোদী সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল গান্ধী টুইট করে লেখেন, 'কেন্দ্র কর্পোরেট সেক্টরকে ১.৪ লক্ষ কোটি টাকার কর মুকুব করে দিতে পারে, প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজের জন্যে ৮,৪০০ কোটি টাকা দিয়ে বিশেষ ২টি বিমান কিন্তে পারেন, কিন্তু জিএসটি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বেলায় রাজ্যগুলিকে ঋণ নিতে বলা হচ্ছে। কেন্দ্রের কাছে নাকি টাকা নেই!'

বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির প্রতি রাহুলের আবেদন
এরপর বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে রাহুল গান্ধী লেখেন, 'আপনাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা আপনাদের ভবিষ্যৎ কেন বন্ধক রাখছে কেন্দ্রের কাছে?' প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক মাস ধরেই কেন্দ্রের করোনা নিয়ন্ত্রণ চেষ্টা, বেকারত্ব, অর্থনৈতিক অগ্রগতি সহ লাদাখ ইস্যুতে প্রায় প্রতিদিনই নিয়ম করে আক্রমণ শানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। সেই প্রবাহ বজায় রেখএই আজকের এই আক্রমণ।

জিএসটি মেটানো সম্ভব নয় বলে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র
এদিকে উদ্ভূত করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলির বকেয়া জিএসটি মেটানো সম্ভব নয় বলে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র। তবে এর জন্য রাজ্য়গুলি যে বিশাল অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়বে, তা মেটানোর জন্য দু'টি বিকল্পের কথা বাতলেছিলেন নির্মলা সীতারমণ। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে একটি বিশেষ উইন্ডোর মাধ্যমে রাজ্য়গুলির ঘাটতি পূরণ করা যেতে পারে বলে জানানো হয়েছিল।

কী বলে কেন্দ্র?
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল, রাজ্যগুলিকে সঙ্গত হারে ৫ বছরের জন্য ৯৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে অথবা ওই বিশেষ উইন্ডোর মাধ্যমে মোট ২.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার সুযোগ মিলবে। রাজ্যগুলিকে এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে বলেছিল কেন্দ্র।

২১টি রাজ্য নিজেদের মত জানায়
জিএসটি কাউন্সিলের এই সংক্রান্ত প্রস্তাবের বিষয়ে ২১টি রাজ্য নিজেদের মত জানায়। এবং ২১টি রাজ্যই প্রথম বিকল্পটি বেছে নিয়েছে। অর্থাৎ, সঙ্গত হারে ৫ বছরের জন্য ৯৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। কিন্তু পুদুচেরি ছাড়া আর কোনও কংগ্রেস শাসিত রাজ্য সেই তালিকায় ছিল না। বাকি কংগ্রেস ও বিরোধী দল শাসিত রাজ্যগুলি এখনও তাদের সিদ্ধান্ত জানায়নি বলে সূত্রের খবর।

রাহুলের তোপ
এই আবহেই ফের বসতে চলেছে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক। তার আগেই ফের রাজ্যগুলিকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ইস্যুতে তোপ দাগলেন রাহুল গান্ধী। কেন্দ্রের হিসেব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে রাজ্যগুলির ক্ষতিপূরণের প্রয়োজন হবে তিন লক্ষ কোটি টাকা, যার মধ্যে জিএসটি ব্যবস্থায় আদায় করা শুল্ক থেকে ৬৫ হাজার কোটি টাকা পূরণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সুতরাং, মোট ঘাটতি ধরা হয়েছে ২.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা।

পেটের দায়ে উপেক্ষিত করোনার চোখ রাঙানি, উৎসবের মরশুমে 'ট্র্যাকে' ফিরছে অর্থনীতি