সংসদ অধিবেশনে না থেকেও মোদী সরকারকে আক্রমণ রাহুল গান্ধীর! পরিযায়ী ইস্যুকে করলেন হাতিয়ার
সংসদে না থেকেও নজর রাখছেন সংসদের গতিবিধির উপর। এদিন ফের কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন রাহুল গান্ধী। ধারাবাহিক আক্রমণের আজকের এপিসোড ছিল সংসদে কেন্দ্রের পরিযায়ীদের নিয়ে করা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে। এদিন রাহুল গান্ধী করোনাকালে পরিযায়ীদের মৃত্যু নিয়ে ফের একবার কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান।
রাহুল টুইট করে কী বলেন?
কটাক্ষের সুরে এদিন রাহুল টুইট করেন, 'মোদী সরকার এটা জানেই না যে করোনা লকডাউনের সময় কতজন পরিযায়ী শ্রমিক মারা গিয়েছেন বা কতজন তাঁদের চাকরি হারিয়েছেন।' এরপর তিনি কেন্দ্রের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, লেখেন, 'আপনারা গোনেননি মানে এই না যে করোনার সময়ে কোনও পরিযায়ী শ্রমিক মারা যাননি।'
পরিযায়ী ইস্যুকে মোদী সরকারকে একহাত রাহুলের
রাহুল গান্ধী টুইটে আরও লেখেন, 'হ্যাঁ এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে সরকার এই সময় কনোও কিছুই করতে পারেনি পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্যে। সারা বিশ্ব দেখেছে এই সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের মরতে, তবে মদী সরকার এই বিষয়ে কোনও খবরই নাকি রাখেনি।'
পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে কোনও তথ্য নেই কেন্দ্রের কাছে!
প্রসঙ্গত, পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে কোনও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে৷ সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না৷ গতকাল লোকসভার বাদল অধিবেশন চলাকালীন লকডাউনে ঘরে ফেরার সময় যেসব পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁদের কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল কি না সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের তরফে এমনটাই জানানো হয়৷ কেন্দ্র সরকারের এই প্রতিক্রিয়ায় বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই বিরোধীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে৷
সংসদে কেন্দ্রের স্বীকারোক্তি
অধিবেশনে প্রথমে লকডাউন পরিস্থিতিতে কতজন পরিযায়ী শ্রমিক নিজের রাজ্যে ফিরে এসেছেন, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়৷ সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক স্বীকার করে যে, ১ কোটিরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক দেশের বিভিন্ন কোণ থেকে নিজের রাজ্যে ফিরে এসেছেন৷ পাশাপাশি, নিজের রাজ্যে ফেরার সময় কতজন শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন বা এইসব শ্রমিকদের কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে কি না সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়৷ কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ কুমার গাংওয়ার লিখিত প্রতিক্রিয়ায় জানান, এই বিষয়ে কোনও তথ্য বজায় রাখা হয়নি৷ সুতরাং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে কোনও প্রশ্নই ওঠে না৷
লকডাউনে পরিযায়ী দুর্ভোগ
উল্লেখ্য, মার্চ মাসে লকডাউন ঘোষণা হওয়া পর থেকে বহু পরিযায়ী শ্রমিক দেশের বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েন৷ চাকরি হারান৷ যানবাহন বন্ধ থাকায় বাড়িও ফিরতে পারছিলেন না তাঁরা৷ কিন্তু লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে থাকায় পরিযায়ী শ্রমিকেরা ধৈর্য্য হারিয়ে ঘরে ফেরার জন্য পায়ে হেঁটেই রওনা দেন৷ সেইসময় কোনও দুর্ঘটনায় ও দিনের পর দিন হেঁটে ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত অবস্থায় বহু পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয় ৷ এই ঘটনার পর পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্রের তরফ থেকে বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়৷
লাদাখ সংঘাতের মাঝেই চালু চিনের অন্য এক যুদ্ধ! কী এই হাইব্রিড ওয়ারফেয়ার?