চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ হলেও শান্তি নেই! ফের চিনের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে মোদী সরকারকে তোপ রাহুল গান্ধীর
বিজেপি বলছে, মেক ইন ইন্ডিয়া কিন্তু চিন থেকে পণ্য কিনছে। এদিন ফের এভাষাতেই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিনের সঙ্গে চলমান সংঘাত নিয়ে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বিজেপিকে তোপ দেগে রাহুল এদিন বলেন, 'তথ্য মিথ্যা বলে না।' ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সংঘর্ষের পর থেকেই চিনের সামগ্রী বয়কটের রব ওঠে। এই আবহেই সোমবার চিনের ৫৯টি মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত। এরপরই রাহুলের এই আক্রমণ।
ইউপিএ সরকারের আমলে চিনা বিনিয়োগ
ইউপিএ ও এনডিএ সরকারেরআমলে চিন থেকে ঠিক কত শতাংশ জিনিস আমদানি হয়েছে তার তথ্য গ্রাফিক্সের মাধ্যমে তুলে ধরেন রাহুল গান্ধী। গ্রাফিক্সে দেখা গিয়েছে, ইউপিএ সরকারের আমলে অর্থাৎ ২০০৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে দেশে চিন থেকে আমদানিরহার ছিল ১৪ শতাংশ। কিন্তু এনডিএ সরকারের আমলে সেই আমদানির হার ১৮ শতাংশেবেড়ে দাঁড়ায়েছে।
মোদীর আমলে চিন থেকে আমদানির পরিমান বেড়েছে
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমলে ২০০৮ সালে চিন থেকে আমদানির হার ছিল ১২ শতাংশ। ২০১২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ শতাংশে। কিন্তু ২০১৪ সালে আবার তা কমে দাঁড়ায় ১৩ শতাংশে। তবে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে চিন থেকে আমদানির পরিমান আরও বেড়ে যায় বলেই দাবি করেন রাহুল গান্ধী।
চিনা পণ্য বর্জের দাবি
২০১৫ সালে চিন থেকে আমদানির পরিমান বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ শতাংশ। ২০১৬ ও ২০১৭ সালেতা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ ও ১৭ শতাংশে। এমনকি ২০১৮ সালে তা ১৮ শতাংশে বেড়ে দাঁড়ায় বলেই দাবি করেন রাহুল গান্ধী। উল্লেখ্য, লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন উত্তেজনা দিনের পর থেকেই দেশে চিনা পণ্য বর্জের দাবি বেড়েই চলেছে। চিনা সেনাদের হাতে ২০ ভারতীয় জওয়ান শহিদ হওয়ার পর লাদাখসীমান্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে।
নিষিদ্ধ ৫৯টি চিনা অ্যাপ
ভারতীয় জওয়ানদের হত্যার প্রতিবাদে দেশজুড়ে চিনা দ্রব্য বর্জনের ডাক দেয় বিভিন্ন সংগঠনগুলো। বিভিন্ন এলাকায় চিনাদ্রব্য পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখায় মানুষেরা। এমত পরিস্থিতিতে কেন্দ্র সরকারের তরফেদেশে ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়। তবে, কেন্দ্র সরকারের এই সিদ্ধান্তকে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলো কটাক্ষ করে।
চিনকে কোণঠাসা করতে লক্ষ্য স্থির, আত্মনির্ভর ভারত গড়তে ফের লোকালের জন্য ভোকাল-এর টনিক মোদীর