রাহুল গান্ধীর বিয়ে দিন আপনারা, কংগ্রেসকে খোঁচা শিবসেনার
ইদানীং নরেন্দ্র মোদীকে ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ শানাচ্ছে কংগ্রেস। তাঁর বিবাহিত জীবন নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ২০১২ সালে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও মনোনয়নপত্রে 'স্ত্রীর নাম' কলামটি ফাঁকা রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু এবার লোকসভা ভোটের মনোয়নপত্রে লিখেছেন, তাঁর স্ত্রীর নাম যশোদাবেন।
এতদিন কংগ্রেস বলত, কে নরেন্দ্র মোদীর স্ত্রী, তিনি এখন কী করেন, এ সব জানানো হোক। নরেন্দ্র মোদী নিজে তা জানানোর পর এখন তারা বলছে, কেন স্ত্রীর সঙ্গে তিনি থাকেন না, কেন এতদিন বিয়ের ব্যাপারে নিয়ে চুপ করেছিলেন ইত্যাদি। এর জেরে বেজায় ক্ষুব্ধ বিজেপি। দু'দিন আগে বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ হুমকি দিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদীকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করলে এবার জওহরলাল নেহরুর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে 'গোপন তথ্য' ফাঁস করে দেওয়া হবে। বিজেপি-র দাবি, ব্যক্তিগত জীবনে অনেক কেচ্ছা করেছেন জওহরলাল নেহরু। দেশের মানুষ সে সব জেনে ফেললে লোকসভা ভোটের সময় আখেরে কংগ্রেসেরই ক্ষতি হবে!
এদিন বিজেপি-র শরিক দল শিবসেনা বলেছে, নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কংগ্রেস যা করছে, তা ঠিক নয়। এ ব্যাপারে আইনি যুদ্ধ শুরু হলেও তাতে কংগ্রেসের লাভ হবে না বলে দাবি করেছে তারা। শিবসেনার মুখপত্রে বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদীর বিয়ে নিয়ে কুৎসা ছড়ালে মুদ্রাস্ফীতি, কালো টাকা ইত্যাদি ইস্যুর সমাধানা হবে না। দেশের মানুষ যখন এই সমস্যাগুলি নিয়ে বীতশ্রদ্ধ, তখন কারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া করাটা অপ্রাসঙ্গিক। এটা সবাই জানে যে, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যশোদাবেনের বিয়ে হয়েছিল ছোটো বয়সে। তার পর স্বেচ্ছায় সংসার জীবন ত্যাগ করে নরেন্দ্র মোদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রচারক হয়ে গিয়েছিলেন।
'সামনা'-তে কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে আরও লেখা হয়েছে, রাহুল গান্ধীর তো যথেষ্ট বয়স হয়েছে। তা হলে, ওঁর বিয়ে হচ্ছে না কেন? কী সমস্যা? কংগ্রেস বরং রাহুল গান্ধীর জন্য পাত্রী খুঁজে দিক। সেটাই ভালো হবে।
এর জেরে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি কংগ্রেস।