যোগী সরকার মুসলমান-দলিত-আদিবাসীদের মানুষ বলে গণ্য করে না, তোপ রাহুলের
যোগী সরকার মুসলমান, দলিত ও আদিবাসীদের- কাউকেই মানুষ হিসাবে বিবেচনা করে না। এটাই লজ্জাজনক সত্য। হাথরাস-কাণ্ডে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও তাঁর পুলিশের বয়ানের প্রতিবাদ করে রাহুল গান্ধী মোক্ষম তোগ দাগলেন। দলিত-কন্যা গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে কাঠগড়ায় তুললেন উত্তরপ্রদেশের যোগী প্রশাসনকে।

যোগী আদিত্যনাথের বয়ানকে কটাক্ষ রাহুলের
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী রবিবার উত্তর প্রদেশের হাথরাসের দলিত মহিলাকে গণধর্ষণ করার পরে মৃত্যুর ঘটনায় যোগী আদিত্যনাথের বয়ানকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং তার পুলিশ বলছে দলিত কন্যাকে ধর্ষণ করা হয়নি। ওই দলিত কন্যা দেশে যাঁরা ধর্ষিতা হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ‘কেউ নন'।

রাহুলের টুইট বার্তা, লজ্জাজনক সত্য
এরপরই একটি টুইট বার্তায় রাহুল গান্ধী বলেন, এটাই লজ্জাজনক সত্য যে অনেক ভারতীয়ই দলিত, মুসলমান এবং আদিবাসীদেরকে মানুষ হিসাবে বিবেচনা করেন না। প্রাক্তন কংগ্রেস প্রধান টুইটের সঙ্গে একটি মিডিয়া রিপোর্টও ট্যাগ করেছিলেন, যাতে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে মহিলারা বারবার ধর্ষণের খবর দেওয়ার পরে পুলিশ কেন ধর্ষণ অস্বীকার করছে।

গণধর্ষণ বলে মানতে নারাজ যোগী সরকার
হাথরাসের এক ১৯ বছর বয়সী দলিত মহিলাকে চারজন উচ্চবর্ণের লোক ধর্ষণ করেছে এবং তাঁর উপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পরে তিনি দিল্লির একটি হাসপাতালে মারা যান। যোগী আদিত্যনাথ সরকার এই ঘটনায় কঠোর সমালোচিত। কারণ তারা এটাকে গণধর্ষণ বলে মানতে নারাজ।

বর্ণ বিভেদ জোরদার করার চেষ্টা, সাফাই
পরিবারের অনুমোদন ছাড়াই স্থানীয় পুলিশ রাতে মহিলার মৃতদেহ পুড়িয়ে দেয়। সেখানেও যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। যদিও পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী অন্ত্যেষ্টি করা হয়েছিল। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, এই ঘটনার পর থেকে কিছু লোক বর্ণ বিভেদ জোরদার করার চেষ্টা করছে।

অধীর জোটের পক্ষে! একুশের নির্বাচনে মমতা না সূর্য- কার সঙ্গে পথ চলবে কংগ্রেস