মোদী দেশের চৌকিদার নন, ভাগীদার! ‘জুমলা স্ট্রাইকে’র কথায় লোকসভা মাত রাহুলের
‘জুমলা স্ট্রাইকে’র কথা তুলে লোকসভায় বাজিমাত করলেন রাহুল গান্ধী। শুক্রবার আস্থা ভোটের আলোচনায় সংসদে রাহুল গান্ধী বলেন, শুধু টিডিপি নয়, এই জুমলার শিকার অনেক দলই।
'জুমলা স্ট্রাইকে'র কথা তুলে লোকসভায় বাজিমাত করলেন রাহুল গান্ধী। শুক্রবার আস্থা ভোটের আলোচনায় সংসদে রাহুল গান্ধী বলেন, শুধু টিডিপি নয়, এই জুমলার শিকার অনেক দলই, জুমলার শিকার গোটা ভারতবাসী। একের পর এক মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, একটাও প্রতিশ্রুতি পালন করেননি।
রাহুল বলেন, আজও দেশবাসীর অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢোকেনি। মোদী শুধু দেশের ১০ জন ধনীর সঙ্গে কথা বলেন, গরিব দেশবাসীর কথা ভাবেননি। এই সত্য কোনওদিনও ভোলা যাবে না। ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ীদের টাকা নিজেদের পকেটে পুরেছে মোদী সরকার, আর গরিবদের ভুলে গিয়েছেন চিরতরে। বছরে দু-কোটি কর্মসংস্থান কোথায়।
তিনি বলেন, দুই বড় ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কের কথা সবাই জানেন। তার মধ্যে এক ব্যবসায়ীর লাভ হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রীর বন্ধুর ছেলে এখন চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি নরেন্দ্র মোদীর দিকে আঙুল তুলে বলেন, প্রধানমন্ত্রী তো নিজেকে দেশের চৌকিদার ভাবেন, এখন দেশের চৌকিদার কোথায়। তিনি এখন আর চৌকিদার নন, তিনি এখন ভাগীদার। গোটা দেশ তা বুঝতে পেরেছে।
রাহুল প্রশ্ন তোলেন বিজেপি সভাপতির ছেলের আয় নিয়ে। তিনি বলেন, কী করে অমিত শাহের ছেলে জয় শাহের আয় ১৬ হাজার গুণ বাড়ল, তার জবাব কেন নেই প্রধানমন্ত্রী মুখে? কেন দেশের চৌকিদার এর বেলায় নিশ্চুপ থেকেছেন? তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী উপরে উপরে হাসছেন, ভিতরে নার্ভাস। উনি আমার চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারছেন না।
এদিন জিএসটি ও নোটবন্দি নিয়েও প্রধানমন্ত্রীকে এক হাত নেন রাহুল গান্ধী। সেইসঙ্গে ফ্রান্সের সঙ্গে রাফায়েল চুক্তি নিয়ে মোদী সরকারকে আক্রমণ করেন। এর পিছনে দুর্নীতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। কেন রাফায়েলের মূল্য সামনে আনছেন না প্রতিরক্ষামন্ত্রী, সেই প্রশ্নও তোলেন রাহুল। এ প্রসঙ্গে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও তিনি নিজে কথা বলেছেন বলেও দাবি রাহুলের।