‘বেকারদের সেনাবাহিনী’ তৈরি করেছেন মোদী! ২০১৯ লোকসভার আগে টুইট-বোমা রাহুলের
দেশের তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরিতে ব্যর্থ কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। তাঁর আমলে ‘বেকারদের সেনাবাহিনী’ তৈরি করেছে প্রধানমন্ত্রী। তোপ রাহুলের।
দেশের তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরিতে ব্যর্থ কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। তাঁর আমলে 'বেকারদের সেনাবাহিনী' তৈরি করেছে প্রধানমন্ত্রী। সেই কারণেই দেশে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। কর্মসংস্থানের প্রশ্নে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এই ভাষাতেই কাঠগড়ায় তুললেন কেন্দ্রের মোদী সরকারকে। তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মোদী সরকারের পতন ঘটাবে এই ব্যর্থতাই।
চাকরির অভাব এবং স্বাস্থ্য পরিষেবায় সমস্যা
রাহুল গান্ধী সম্প্রতি বলেন, ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে চাকরির অভাব এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্পর্কিত সমস্যা রয়েছে দেশে। তাঁরা সরকারে এলে সর্বাগ্রে সেই সমস্যার সমাধান করা হবে। কংগ্রেসের টুইট করা একটি ভিডিওতে তিনি এই ভাবেই দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন।
|
৩০ হাজারের বদলে ৪৫০
ভিডিওতে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, কেন্দ্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল প্রতিদিন দেশের ৩০ হাজার যুবককে চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু আদতে কী হচ্ছে? চাকরির বাজারে মাত্র ৪৫০ জন চাকরি পাচ্ছে। বাকিদের চাকরি নেই, বেকারত্ব বাড়ছে দিনদিন। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও মাথাব্যথাও নেই তা নিয়ে।
|
মাসে এক মিলিয়ন করে বেকার বাড়ছে
রাহুলের তোপ, এর ফলে দেশে বেকার যুবক ‘সেনা' তৈরি হচ্ছে। মাসে এক মিলিয়ন করে বেকার বাড়ছে। যদি আপনি যুবকদের চাকরি দিতে না পারেন তবে ক্ষোভ তৈরি হবেই। তাই হচ্ছে দেশে। সেই কারণেই হিংসা বাড়ছে। এই ক্ষোভই ছড়িয়ে পড়ছে দেশের সর্বত্র। কারখানা থেকে কৃষিক্ষেত্র সব জায়গাতেই একই চিত্র।
|
এডিআর-এর জরিপ
তাঁর কথায়, এটি দেশের জন্য বিপজ্জনক। অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস বা এডিআর পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, গত মাসে নির্বাচনে পাঁচটি রাজ্যের ভোটারদের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগ ছিল এই সমস্যা। ভিডিওর মাধ্যমে কংগ্রেস তাদের সামনে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই কংগ্রেসের তুরুপের তাস।
|
১১ মিলিয়ন চাকরি হারা
একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট তুলে ধরে টুইটে রাহুল গান্ধী জানান, প্রায় ১১ মিলিয়ন ভারতীয় চাকরি হারিয়েছেন গত বছর। তারপরও প্রধানমন্ত্রী এখই রকম সুরে বেজে চলেছেন। তিনি ‘জুমলা রাগ' গেয়ে চলেছেন বলে রাহুল গান্ধী টুইটারে লিখেছেন। এই ভিডিওতে সমালোচনার জবাব দিয়েছেন দেশের সমস্যার তালিকা তুলে ধরে। বলেছেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে সবার আগে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলির পুনর্জন্ম দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এই ছোট ও মাঝারি ব্যবসা ক্ষেত্র ও আনুষ্ঠানিক সেক্টরগুলিতে নতুন কর্মসংস্থানের চেষ্টা করবেন।
[আরও পড়ুন:চৌকিদারকে সরানোর চেষ্টা করছে চোর! রাহুলকে নিশানা মোদীর]
ফোকাসের অভাবে কোপ চাকরিতে
মোদী সরকার ক্ষমতায় এসে সমস্যা মেটানোর কোনও চেষ্টা করেন। এই সরকারের ফোকাসের অভাব ছিল। স্বচ্ছ ভারত, স্টার্টআপ ভারত করতে গিয়ে মূল সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের শক্তি ছোট এবং মাঝারি ব্যবসা এবং আনুষ্ঠানিক সেক্টর। সেখানেই কর্মসংস্থান তৈরি হয়নি। শুধু বড় ব্যবসায়ীদের দেখতে গিয়ে ছোট-মাঝারি ক্ষেত্রে সর্বনাশ নেমে এসেছে। তার উপর নেমে এসেছে নোট বাতিল, জিএসটির মতো মারাত্মক খাঁড়া। শেষ হয়ে যেতে বসেছে চাকরির ক্ষেত্রে
[আারও পড়ুন: মোদী অক্ষম! উন্নয়নের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ রাহুলের]