‘বিজেপি অসমের সংস্কৃতি জানে না, ওদের এটার উপর আক্রমণ করতে দেবেন না’, তোপ রাহুল গান্ধীর
বিতর্কিত
নাগরিকত্ব
সংশোধন
আইনের
বিরুদ্ধে
আবার
মুখ
খুলতে
দেখা
গেল
রাহুল
গান্ধীকে।
এই
'কালা’
আইনের
বিরুদ্ধে
দেশব্যাপী
প্রতিবাদ-বিক্ষোভের
মধ্যে
শনিবার
কংগ্রেসের
বর্ষীয়ান
নেতা
রাহুল
গান্ধী
স্পষ্টভাবে
বলেন
যে
কোনও
ভাবেই
ঐতিহাসিক
অসম
চুক্তির
চেতনা
ভেঙে
ফেলা
উচিত
নয়।
এদিন গুয়াহাটিতে কংগ্রেসের একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলতে দেখা যায় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, “অসমে বিদ্বেষ ও হিংসার বাতাবরণ বরাবরই ছিল। তারপরেও মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল এবং অসম চুক্তি স্বাক্ষরের পরে রাজ্যে শান্তিও ফিরে এসেছিল। সুতরাং, চুক্তিটির চেতনাকে ভেঙে ফেলা উচিত হবে না। সেই সময় প্রত্যেকে চুক্তিটি গ্রহণ করেছিল। ”
নয়া নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ অসম চুক্তির ৫ নম্বর ধারা স্পষ্টতই লঙ্ঘন করে। ওই ধারা অনুযায়ী, "অবৈধ অভিবাসীদের তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস নির্বিশেষে, যারা ১৯৭১ সালের ২৪ শে মার্চ পরে আসামে এসেছিল, তাদের সনাক্ত করা হবে এবং নির্বাসন দেওয়া হবে।"
ছয় বছরের দীর্ঘ রক্তাক্ত অনুপ্রবেশ বিরোধী আন্দোলন শেষে ১৯৮৫ সালে রাজীব গান্ধী সরকার এবং অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের মধ্যে এই অসম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই আন্দোলন ইতিহাসের পাতায় অসম আন্দোলন নামেও পরিচিত।
কিন্তু এই নয়া নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ বা তার আগে ভারতের প্রতিবেশী দেশ যেমন পাকিস্তান আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে অমুসলিম যেকোনো সম্প্রদায় যেমন হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এরপরই ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে ধর্মীয় পরিচয়কে প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা।