ভারত জোড়ো যাত্রা জীবনের শ্রেষ্ঠ অভিজ্ঞতা, কাশ্মীরে সমাপনীতে কেন এ কথা বললেন রাহুল
এই যাত্রায় আমার লক্ষাধিক লোকের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি তাঁদের বুঝেছি, তাঁরা আমাকে বুঝেছেন। সে এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত ভারত জুড়লেন রাহুল গান্ধী। ১৪৫ দিন পর কাশ্মীরে পরিক্রমা শেষ করে তিনি হৃদয় ছুঁয়ে গেলেন গোটা ভারতের। রাহুল গান্ধীকে নিয়ে উন্মাদনায় মাতল কাশ্মীর। আর রাহুল ভারত জোড়ো যাত্রা শেষ করে বললেন, আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অভিজ্ঞতা।
এক নতুন রাহুলের জন্ম ভারত জোড়ো যাত্রায়
জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের লাল চকে তেরঙ্গা উত্তোলনের মাধ্যে পদযাত্রা শেষ হওয়ার পরে রাহুল গান্ধী বলেন, ভারতজুড়ে প্রায় চার হাজার কিলোমিটারের বেশি পরিক্রমা করে তিনি অনেক কিছু শিখতে ও বুঝতে পেরেছিলেন। দক্ষিণের কন্যাকুমারী থেকে উত্তরের কাশ্মীর পর্যন্ত যাত্রা এক নতুন রাহুলের জন্ম দিয়েছে।
জীবনের সবথেকে সুন্দর ও শ্রেষ্ঠ অভিজ্ঞতা
রবিবার সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করে রাহুল বলেন, ভারত জোড়ো যাত্রা তাঁর জীবনের সবথেকে সুন্দর ও শ্রেষ্ঠ অভিজ্ঞতা। এই যাত্রায় আমার লক্ষাধিক লোকের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি তাঁদের বুঝেছি, তাঁরা আমাকে বুঝেছেন। সে এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
ঘৃণা ও হিংসার নিবারণে ভালোবাসা বিলিয়েছিলেন
রাহুলের কথায়, আমার ভারত জোড়ো যাত্রার লক্ষ্য ছিল ভারতে একত্রিত করা। সারা দেশে যখন ঘৃণা ও হিংসার বাতাবরণ ছড়িযে পড়েছে, আমি ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছিলাম ভালোবাসা দিয়ে সেই অসহিষ্ণু পরিবেশ দূর করতে। এই লক্ষ্যে আমি এক দুর্দান্ত প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। এমন ভালোবাসায় ভরা প্রতিক্রিয়া আমি আশা করিনি।
ভারত পরিক্রমার মাধ্যমে দেশকে বিকল্প দৃষ্টিদান
রাহুল বলেন, ভারতের জনগণের সৌহার্দ্য, শক্তি, বিশ্বাস সরাসরি দেখতে পেয়েছি। উত্তর-দক্ষিণ ভারতজুড়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাতে আবার পূর্ব-পশ্চিম ভারত জোড়োর শক্তি ও বিশ্বাসও অর্জন করতে পেরেছি। আমি চেয়েছিলাম এই ভারত পরিক্রমার মাধ্যমে দেশকে একটি বিকল্প দৃষ্টি দিতে। আমি অনেকাংশেই সফল হয়েছি দেশের প্রতি সেই কর্তব্যসাধনে।
রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রার পরিসংখ্যান
রাহুল গান্ধী বলেন, ১২টি রা্জ্য ও দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্য দিয়ে ৪০৮০ কিলোমিটার পথ পরিক্রম করেছি। এই পথে ১২টি জনসভা ও ১০০টিরও বেশি স্ট্রিট কর্নার করেছি। ১৩টি প্রেস কনফারেন্স করেছি। আর এই পথ পরিক্রমার মাধ্যে ২৭৫টিরও বেশি কথোপকোথন এবং ১০০টিরও বেশি আলোচনায় অংশ নিয়েছি।
তুষারপাত উপেক্ষা করে রাহুল গান্ধীর সমাবেশে ভিড়
মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণ দিবসে জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রনীগরে রাজ্য কংগ্রেসের সদর দফতরে গিয়ে শেষ হয় রাহুল গান্ধীর ভারত পরিক্রমা। তারপর শ্রীনগরে শের-ই-কাশ্মীর স্টেডিয়ামে একটি সমাবেশ হয়। প্রবল তুষারপাতের মধ্যেই বিরোধী ঐক্য এদিন জোরদার হয়। তুষারপাত উপেক্ষা করে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপনীতে রাজনৈতিক কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল আশাতীত।
কাশ্মীরে ভারত জোড়ো যাত্রার শেষদিন সঙ্গী বোন প্রিয়াঙ্কা
রাহুল গান্ধী সোমবার ভারী তুষারপাতের মধ্যেই সমাবেশে ভাষণ দেন। ২০২২-এ ৭ সেপ্টেম্বর যে যাত্রার সূচনা হয়েছিল, তা শেষ হয় পাঁচ মাসে। এদিন রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় তাঁর সঙ্গী ছিলেন বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপনীতে যারা ছিলেন
রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপনীতে ছিলেন এম কে স্ট্যালিনের ডিএমকে, শারদ পাওয়ারের এনসিপি, তেজস্বী যাদবের আরজেডি, নীতীশ কুমারের জেডিইউ, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা, সিপিএম, সিপিআই, কেরালা কংগ্রেস, ভিসিকে, ফারুক আবদুল্লার জম্মু ও কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্স, মেহবুবা মুফতির পিডিপি, শিবু সোরেনের জেএমএমের প্রতিনিধিরা।
ঝালদা পুরসভা নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ রাজ্যের! আইনি জটিলতায় থমকে পরিষেবা