বিমান দুর্ঘটনা থেকে ‘অদ্ভুত’ রক্ষা রাহুলের! মাঝ আকাশে গোলযোগে বেঁধেছিল ঘোর বিপত্তি
মাত্র কয়েক সেকেন্ড এধার-ওধার হলেই ঘটে যেত বড়সড় দুর্ঘটনা। মাঝ আকাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বিমান।
মাত্র কয়েক সেকেন্ড এধার-ওধার হলেই ঘটে যেত বড়সড় দুর্ঘটনা। মাঝ আকাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বিমান। কিন্তু পাইলটের তৎপরতায় সে যাত্রায় রক্ষা পান রাহুল। রক্ষা পান পাইলট-সহ বিমানে উপস্থিত রাহুলের অন্যান্য সহযোগীরাও। ডিজিএসের তদন্তে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ঘটনা ২৭ এপ্রিলের। তখন কর্ণাটক নির্বাচনের প্রচার চলছে। কংগ্রেস সভাপতি ১০ আসনের বিমানে যাচ্ছিলেন কর্ণাটকের হুবলি সফরে। সুপার লাক্সারি ডুসেলডফ ফ্যালকন বিমানটি হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হরিয়ে আকাশপথেই বাঁদিকে ঘুরে গিযে দ্রুত নামতে থাকে। পাইলট সঙ্গে সঙ্গে বুঝে যান সমস্যা। তৎক্ষণাৎ তিনি সামলে নেন। এরপর কংগ্রেসের তরফে রাহুল গান্ধীর সহযোগী কৌশল বিদ্যার্থী ডিজিসিএ-তে অভিযোগ জানান। মোদী সরকার তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দিলেও তদন্ত-রিপোর্ট প্রকাশ পায়নি আজও।
কংগ্রেস এখন দাবি জানাচ্ছে অবিলম্বে ডিজিসিএ-র দুই সদস্যের কমিটির তদন্ত রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। সেদিন বাঁদিকে বেঁকে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বিমান, তারপর তা দ্রুত নামতে থাকে। বিকট আওয়াজও আসছিল বিমানটি থেকে। গোটা বিমানটিই কাঁপছিল। আবহাওয়া পরিষ্কার থাকায় পাইলট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন অসামান্য তৎপরতায়। রক্ষা পায় কংগ্রেস সভাপতি-সহ অতগুলি প্রাণ।
এক্ষেত্রে অবশ্য নরেন্দ্র মোদী সরকার কালবিলম্ব না করে তদন্তের নির্দেশ দেন। ফলে কংগ্রেস সেই সময় এই বিমান বিভ্রাটকে ইস্যু করতে পারেনি। এতদিন পর ডিজিসিএ-র তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার দাবিতে কংগ্রেস বোমা ফাটাতে চলেছে। কংগ্রেসের দাবি, ত্রুটি ধরা পড়েছে ডিজিসিএসের তদন্তে, সেই কারণেই ওই তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না।
কংগ্রেসের দাবি, ডিজিসিএ তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, বিমানটি অটো পাইলট মুডে ছিল। ফলে বিমানটিতে যান্ত্রিক ক্রুটির জন্য বাঁদিকে টার্ন নিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। ওই অবস্থায় বিমানকে নিয়ন্ত্রণে আনা প্রায় অসম্ভব একটা কাজ। পাইলট খুব তড়িঘড়ি সমস্যাটি বুঝতে পেরে ম্যানুয়াল মোডে নিয়ে গিয়ে সে যাত্রায় বিমান রক্ষা করেন পাইলট। বিমানের পাইলটকেও জেরা করা হয়েছে। ককপিট সিস্টেম খতিয়ে দেখা হয়েছে।