বেকারত্ব বাড়ছে আর প্রধানমন্ত্রী বিদেশে বন্ধুদের ভবিষ্যত নিশ্চিত করছেন, কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর
বেকারত্ব বাড়ছে আর প্রধানমন্ত্রী বিদেশে বন্ধুদের ভবিষ্যত নিশ্চিত করছেন, কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর
দেশে বেকারত্ব বৃদ্ধি নিয়ে ফের একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সোমবার টুইটারে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিদেশে তাঁর বন্ধুদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করছেন। কিন্তু দেশের যুবকদের তিনি চাকরি দিতে পারছেন না। দেশে বেকারত্বের হার দিন দিন বেড়ে চলেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
কী বললেন রাহুল গান্ধী
সোমবার
টুইট
করে
রাহুল
গান্ধী
আধাসামরিক
বাহিনীতে
নিয়োগ
পরীক্ষায়
উত্তীর্ণ
যুবক-যুবতীদের
বিক্ষোভের
একটি
ভিডিও
শেয়ার
করেন।
তিনি
লেখেন,
'প্রধানমন্ত্রী
বিদেশে
গিয়ে
তাঁর
বন্ধুদের
ভবিষ্যত
সুরক্ষিত
করার
চেষ্টা
করছেন।
কিন্তু
দেশের
বেকার
যুবক-যুবতীদের
চাকরি
দিতে
পারছেন
না।
কেন
দেশের
যুব
সমাজের
সঙ্গে
এত
বৈষম্য।'
২০১৮
সালে
এই
বিক্ষোভকারীরা
পরীক্ষায়
পাশ
করেছিলেন।
কিন্তু
এখনও
তাঁদের
নিয়োগপত্র
আসেনি
বলে
অভিযোগ।
বিক্ষোভকারীরা
নাগপুর
থেকে
দিল্লি
পর্যন্ত
পদযাত্রা
শুরু
করেছেন।
নিয়োগপত্রের দাবিতে বিক্ষোভ
গত এক বছরের বেশি সময় ধরে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে চলেছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, ২০১৮ সালে তাঁরা সিআরপিএফের নিয়োগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু এখনও তাঁরা কোনও নিয়োগপত্র পাননি। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে চাকরি প্রত্যাশীরা নাগপুরের সম্বিধান চকে অনশনের বসেছিলেন। অনশনের জেরে অনেকে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আশ্বাসের পর ৭২ দিন পর বিক্ষোভকারী তাঁদের অনশন তুলে নেন। তাঁদের আন্দোলন অব্যাহত থাকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আশ্বাসের পরেও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি। আন্দোলনকারী নাগপুর থেকে দিল্লি পর্যন্ত পদযাত্রা শুরু করেছেন।
বিক্ষোভকারীদের আবেদন
বিক্ষোভকারীরা দ্রুত নিয়োপত্রের আবেদন করেন। অনেক আন্দোলনকারী জানিয়েছেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আন্দোলন করার জন্য অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অনেকের শারীরিক অবস্থা এতটা খরাপ হচ্ছে যে হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে। কিন্তু তাঁরা আন্দোলন থেকে কিছুতেই সরে আসবেন না বলে জানিয়েছেন। অনেকেই জানিয়েছেন, দারিদ্র অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার একটাই মাত্র রাস্তা ছিল এই চাকরি। অনেক আন্দোলনকারী জানিয়েছেন, নিয়োগপত্রের জন্য অপেক্ষা করতে করতে তাঁদের বয়স পেরিয়ে গিয়েছে।
সিআরপিএফে লক্ষাধিক শূন্য পদ
একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ২৫,২৭১টি শূন্যপদের নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। ৫০ হাজারের বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। তারমধ্যে ২০১৮ সালে নিয়োগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪,২৯৫ জন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ২০২০ সালে জানিয়েছিলেন, সিআরপিএফ এক লক্ষের বেশি শূন্যপদ ফাঁকা রয়েছে। শূন্যপদের বেশিরভাগ কনস্টেবল গ্রেডের। তারপরেও মাত্র ২৫ হাজার পদের চাকরির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের কেন এখনও নিয়োগপত্র দেওয়া হল না, এই নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। দুই বছর আগে ২০২০ সালে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছিলেন, করোনা মহামারীর জন্য নিয়োগ স্থগিত রয়েছে। ঘটনার দুই বছর কেটে গেলেও উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা নিয়োগপত্র পাননি।
দুর্নীতি আর অনিময়ম রুখতে চরম বার্তা স্ট্যালিনের, কী হুঁশিয়ারি দিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী