ভারতীয় যুবকদের স্বপ্নের কোনও মূল্য নেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে, আক্রমণ রাহুল গান্ধীর
ভারতীয় যুবকদের স্বপ্নের কোনও মূল্য নেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে, আক্রমণ রাহুল গান্ধীর
ভারত জোড়ো যাত্রা থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে নিশানা করলেন রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সব সময় বলেন, ৭০ বছরে আমরা কী করেছি? সত্যি বলতে প্রধানমন্ত্রী ভারতে যে মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন, আমরা তা নিয়ে যেতে পারিনি। আজকে ভারত রেকর্ড পরিমাণ মূল্যবৃদ্ধির মুখে দাঁড়িয়েছে। গত ৭০ বছরে ভারত এই ধরনের পরিস্থিতিতে কখনও পড়েনি।'
গ্যাস ও পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরোধিতা
শনিবার কেরালার সাংস্কৃতিক রাজধানী ত্রিশুরে পৌঁছেছে কংগ্রেসের ভারত জোড়া যাত্রা। শনিবার সন্ধ্যায় শ্রী ভাদাকুমনাধা মন্দির কমপ্লেক্সে একটি বিশাল জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, ইউপিএ-র সময়ে একটি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ছিল প্রায় ৪০০ টাকা। নরেন্দ্র মোদী সেই সময় জনসভায় বক্তব্য রাখলেই ৪০০ টাকা গ্যাস সিলিন্ডারের দামের বিরোধিতা করতেন। কিন্তু এখন তিনি গ্যাস সিলিন্ডার সম্পর্কে একটি কথাও বলেন না। অথচ এখন গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ১০০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন ডিজেল, পেট্রোলের দাম বাড়ছে। তার সমস্ত অর্থ গুটি কয়েক ধনী ব্যবসায়ীদের পকেটে যাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। দেশের লক্ষ লক্ষ নাগরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো পরিষেবা থেকে বঞ্চিত, এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও নজর নেই।
বেকারত্ব ও উচ্চমূল্য বৃদ্ধির মধ্যে যোগ রয়েছে
শনিবার একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন সমাজে ঘৃণা ও সহিংসতা এবং দেশের বেকারত্ব এবং উচ্চ মূল্যের মধ্যে একটি সংযোগ রয়েছে। ওয়ানাডের সাংসদ বলেন, বিজেপি হিংসা, ঘৃণা এবং ক্রোধ ছড়ায় যাতে আপনি দেশের সমস্যাগুলো থেকে চোখ সরিয়ে নেন। আপনার সম্পূর্ণ নজর এই হিংসা, ঘৃণা, ক্রোধের ওপর পড়ে। আপনি যে প্রধান সমস্যাগুলির মুখোমুখি হচ্ছেন তা থেকে আপনাকে বিভ্রান্ত করার জন্য পরিকল্পনা করে বিজেপি এই ঘৃণার রাজনীতি করে।
ভারতে বেকারত্বের হার সব থেকে বেশি
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ভারতে এখন বেকারত্বের হার সব থেকে বেশি। ভারতে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের ওপর কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না। শ্রমিকদের, কৃষকদের, বেকার যুবকদের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোনও কর্মসূচি গ্রহণ করেন না। শুধু ভারতের পাঁচ-ছয় জন শিল্পপতিদের স্বার্থে সমস্ত পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ভারতের কৃষক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন দেখতে দেওয়া হয় না। নোটবন্দি, জিএসটি, কৃষি আইনের চাপে বার বার ভারতের একদল মানুষকে প্রান্তিক করে দেওয়ার পরিকল্পনা কেন্দ্র সরকার করেছে।
আত্মনির্ভর ভারত তৈরি করতে গেলে দেশের পণ্য কিনতে হবে, মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী