'ভারতের আদর্শ ধ্বংসের ঘু্টি হবেন না', টুইটারের CEO-কে চিঠি রাহুল গান্ধীর
'ভারতের আদর্শ ধ্বংসের ঘু্টি হবেন না', টুইটারের CEO-কে চিঠি রাহুল গান্ধীর
গত বছর রাহুল গান্ধীর টুইটার হ্যান্ডেলটি বেশ কিছুদিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছিল টুইটার কতৃপক্ষ৷ দিল্লির ধর্ষণের ঘটনায় ভিক্টিমের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করে টুইটারের নিয়ম ভাঙার কারণে এই ব্যান বলে জানা গিয়েছিল। যদিও কয়েকদিনের ব্যবধানে ব্যান সরিয়ে রাহুলের টুইটার ফেরতও দিয়েছিল কতৃপক্ষ। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে৷ টুইটারের সিইও হয়েছেন ভারতের কৃতি সন্তান পরাগ অগরওয়াল৷ এবার পরাগকেই চিঠি লিখলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী৷
কী নিয়ে চিঠি?
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর নেতা রাহুল গান্ধী টুইটারে সিইওকে লিখেছেন, 'ভারতের আদর্শ ধ্বংসের ঘুঁটি হবেন না।' টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়ালের কাছে লেখা চিঠিতে তিনি অবাধ ও ন্যায্য বক্তব্য প্রকাশ রোধে টুইটারের অনিচ্ছাকৃত জটিলতা তুলে ধরতে চেয়েছেন। চিঠিতে রাহুল তাঁর অ্যাকাউন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কংগ্রেস এমপি শশী থারুরের টুইটার হ্যান্ডেলের একটি তুলনা টেনেছেন। যেখানে তিনি দাবি করেছেন ২০২১ সালে প্রথম সাত মাসে টুইটারে গড়ে ৪ লাখ ফলোয়ার বেড়েছে তাঁর। গত বছরের অগাস্টে তাঁর অ্যাকাউন্ট আট দিনের জন্য বন্ধ হওয়ার পরে ফলোয়ার বৃদ্ধি হঠাৎ-ই থেমে গিয়েছে।
আরও যা বলেছেন রাহুল!
চিঠিতে রাহুলের আরও দাবি, এই সময়টাতে তিনি টুইটারের মাধ্যমে দেশের বেশিরভাগ জ্বলন্ত বিষয় উত্থাপন করেছিলেন। ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে লেখা চিঠিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী লিখেছেন, আমি আপনাকে এক বিলিয়নেরও বেশি ভারতীয়দের পক্ষ থেকে লিখছি টুইটার যাতে ভারতের আদর্শ ধ্বংসের জন্য একটি বোড়ে-তে পরিনত না হয়। এটা কাকতালীয় নয় যে সময় আমি টুইটারে পর পর সরকার বিরোধী জ্বলন্ত ইস্যুগুলি তুলে ধরছিলাম৷ দিল্লিতে ধর্ষণের শিকার পরিবারের দুর্দশার কথা তুলেছিলাম, আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে একতা প্রকাশ করেছিলাম এবং অন্যান্য অনেক মানবাধিকার ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম।ওই সময় টুইটারে আমার একটি ভিডিও যেখানে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে কৃষক বিরোধী তিনটি কুখ্যাত খামার আইন বাতিল করা হবে তা সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের যেকোনো রাজনৈতিক নেতা দ্বারা পোস্ট করা টুইটারে সবচেয়ে বেশি দেখা ভিডিওগুলির মধ্যে রয়েছে।
টুইটার ইন্ডিয়ার কর্মীদের উপর সরকারি চাপ রয়েছে বলে দাবি রাহুলের!
আমি নির্ভরযোগ্যভাবে,বিচক্ষণতার সঙ্গে টুইটার ইন্ডিয়ার কর্মীদের থেকে জানতে পেরেছি যে তাদের উপর সরকারের চাপ রয়েছে আমার কণ্ঠ বন্ধ করার জন্য। এমনকি আমার অ্যাকাউন্টটি কোনও বৈধ কারণ ছাড়াই কয়েক দিনের জন্য ব্লক করা হয়েছিল। আরও অনেক টুইটার হ্যান্ডেল ছিল, সরকারী ব্যক্তি সহ, যারা একই লোকের অনুরূপ ছবি টুইট করেছিল। এই অ্যাকাউন্টগুলির একটিও ব্লক করা হয়নি। আমার অ্যাকাউন্টটিকে একমাত্র টার্গেট করা হয়েছিল৷
৯০০ পয়েন্ট পড়ল শেয়ার বাজার, নিফটিতেও বড় ধাক্কা