বিদেশে থেকেই মাস্টার প্ল্যান! রাহুল গান্ধীর দ্বিতীয় ইনিংস নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
কাম্বোডিয়ায় 'বিপাসনা'র জন্য যাওয়া প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। দলের তাঁর অনেক কাছের নেতার মনেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে এই মেডিটেশন নিয়ে।
কাম্বোডিয়ায় 'বিপাসনা'র জন্য যাওয়া প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। দলের তাঁর অনেক কাছের নেতার মনেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে এই মেডিটেশন নিয়ে। যেখানে এই মুহুর্তে কংগ্রেসে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে। দলে যুবদের বঞ্চিত করা অভিযোগে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে, অশোক তানোয়ার, সঞ্জয় নিরুপম এবং প্রদ্যোৎ দেববর্মনরা। অভিযোগ উঠেছে রাহুলের লোকজনকে সনিয়া ব্রিগেড সাইড লাইনে সরিয়ে দিচ্ছে।
উদাহরণ হিসেবে রয়েছেন অশোক তানোয়ার। তাঁকে হরিয়ানা কংগ্রেসের সভাপতির পদে বসিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা তাঁকে টার্গেট করেন বলে অভিযোগ।
আর
রাহুল
গান্ধীর
হঠাৎ
চলে
যাওয়ার
সময়টা
নিয়েও
অনেকেই
অবাক।
দুটি
গুরুত্বপূর্ণ
রাজ্যে
রয়েছে
নির্বাচন।
অনেক
নবীন
নেতা
দলের
সঙ্গে
থাকলেই
অসন্তুষ্ট।
ভবিষ্যৎ
নিয়ে
চিন্তিত
তাঁরা।
কেন
রাহুল
গান্ধী
এই
সময়টাকেই
বেছে
নিলেন।
আর
কেনই
বা
তিনি
মুখ
খুলছেন
না।
প্রশ্ন
উঠছে
দলেই।
রাহুল
গান্ধীর
অফিস
সূত্রের
খবর,
খুব
তাড়াতাড়ি
তিনি
ফিরে
আসবেন।
আর
দুই
রাজ্যেই
ভোট
প্রচারে
অংশ
নেবেন।
তবে
তা
কখনই
গত
লোকসভা
নির্বাচনের
মতো
আগ্রাসী
হবে
না।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে থাকা নেতারা সময়ের অপেক্ষায় আছেন। যখন ইন্দিরা গান্ধী দলের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছিলেন, সেই সময় বর্ষীয়ান নেতারা তাঁর জীবনকে কার্যত নরক করে তুলেছিলেন। তিনি বিরোধিতা সত্ত্বেও এগিয়ে যেতে পেরেছিলেন। এখনও সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বলেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা।
তবে এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগে যখন রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখন, সনিয়ার টিমের বেশিরভাগ সদস্যরা নার্ভাস ছিলেন এবং রাহুলের সঙ্গে কাজ করতেও অসাচ্ছ্বন্দ বোধ করতেন।
যদিও এটাও সত্যি যে লোকসভা ভোটে রাহুল গান্ধী ধারনার সঙ্গে সহমত ছিলেন খুব কম নেতাই। অনেকেই চাননি রাহুল গান্ধী রাফালে নিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করুন। অনেক বর্ষীয়ান নেতাই এর বিরোধিতা করেছিলেন বলে জানা যায়।
লোকসভা নির্বাচনে বড় ধাক্কা খান রাহুল গান্ধী। তাঁর পদত্যাগের অন্যতম কারণ ছিল, বর্ষীয়ান নেতারা তাঁর পাশে দাঁড়াননি। সনিয়া গান্ধী হয়ত চাইছেন, দ্বিতীয় সুযোগ আসুক তাঁর ছেলের জন্য। কিন্তু দলের ভিতর থেকেই সেই চাহিদাটা তৈরি হোক।
যদি রাহুল গান্ধী ফের একবার সভাপতির হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তা বর্ষীয়ান নেতৃত্বের জন্য খুব খারাপ খরব হবে। কেননা নবীন যাঁরা দল ছেড়ে যাচ্ছেন তাঁদের প্রায় সবাই দলের বর্ষীয়ান নেতাদের আক্রমণ করছেন।
তবে কংগ্রেসের নিজেস্ব এস্টিমেট রয়েছে। তারা ভিতরে বলছে হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে বড় ধাক্কা আসতে চলেছে। এবারের নির্বাচনে হরিয়ানায় ভূপিন্দর সিং হুডাকে নির্বাচন পরিচালনার ফ্রি হ্যান্ড দেওয়া হয়েছে। সেখানে হার হলে, ধরেই নেওয়া হবে দলে তাঁর ক্যারিয়ার শেষ।