পাঞ্জাব হাতছাড়া, চার রাজ্যে বইছে গেরুয়া ঝড়, দমতে রাজি নন রাহুল, বললেন 'ভীত নই'
পাঞ্জাব হাতছাড়া, চার রাজ্যে বইছে গেরুয়া ঝড়, দমতে রাজি নন রাহুল, বললেন 'ভীত নই'
একেবারেই ভীত নই। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফলে কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়ের ধারা প্রকাশ্যে আসার পরেও দমতে রাজি নন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এখনও দলীয় কর্মীদের মনোবল ভাঙতে দিতে চান না তিনি। পাঞ্জাব হাতছাড়া হতে চলেছে। উত্তরাখণ্ডে শক্তি বাড়িয়েও কংগ্রেস এগোতে পারেনি। কাজেই মানুষ যে কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করতে শুরু করে দিয়েছে তা স্পষ্ট এই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফলের ট্রেন্ডে।
উত্তর প্রদেশে শোচনীয় পরাজয়
কংগ্রেস যাকে বলে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে উত্তর প্রদেশ থেকে। নিজেদের গড় রায় বরেলিতেও হারের পথে কংগ্রেস প্রার্থী। এবার এই কেন্দ্রে ত্রিমুখী লড়াই হয়েছে। কংগ্রেসের পাশাপাশি প্রার্থী দিয়েছে সমাজবাদী পার্টিও। বিজেপি, সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস। তিন রাজনৈতিক দলের লড়াই হয়েছে এখানে। লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হন সোনিয়া গান্ধী। সেই কেন্দ্রেও শোচনীয় পরাজয় দেখেতে হল কংগ্রেসকে।
প্রিয়াঙ্কা ম্যাজিকও কাজ করল না
এই উত্তর প্রদেশেই লখিমপুর থেকে উন্নাও, হাথরাস একের পর এক ঘটনা গোটা দেশের রাজনৈতিক মহল তোলপাড় করেছিল। লখিমপুর খেরির ঘটনার পরেও বিজেপির এই বিপুল জয় স্পষ্ট করে দিয়েছে ২০২৪-এ ফের মোদীই হয়তো ক্ষমতায় ফিরবেন। উত্তর প্রদেশ সেই পথ আরও সুগম করে দিয়েছেন। অথচ মহিলা ভোটারকে সামনে রেখে উত্তর প্রদেশে এগিয়েছিল কংগ্রেস। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে মুখ করেই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা ভোটের ময়দানে নেমেছিল কংগ্রেস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এগোতে পারেনি। ২০১৭ সালের মতই এক প্রকার উত্তর প্রদেশ থেকে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস।
রাহুলের বার্তা
তারপরেও মনোবল হারাতে রাজি নন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছেন হার এসেছে মানেই ভয় পেয়ে যেতে হবে এমন না। আরও লড়াই কঠিন হল। তবে একেবারেই ভীত নই বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরের ঘটনা নিয়ে কংগ্রেস সবার আগে লোকসভা অধিবেশনেও বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। কৃষি আইন বাতিলের পরেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের অপসারণের দাবিতে সরব হয়েছিল কংগ্রেস নেতারাই।
বাকি চার রাজ্যেও ব্যর্থ কংগ্রেস
পাঞ্জাবেও শোচনীয় হার দেখতে হয়েছে কংগ্রেসকে। তার মূলে যে অন্তর্দ্বন্দ্ব তাতে কোনও সন্দেহ নেই। পাঞ্জাবে অমরিন্দরকে সরিয়ে সিধুর উপরে আস্থা রেখেছিলেন কংগ্রেস। রাহুল-প্রিয়াঙ্কার বিশেষ পছন্দের লোক ছিলেন সিধু। কিন্তু পাঞ্জাব কংগ্রেসের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সিধুর সঙ্গে চান্নির প্রকাশ্যে বিক্ষোভ দলের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আপের জয় অনেক সহজ করেছে কংগ্রেস। গোয়ার ক্ষেত্রেও তাই সংগঠনের অন্তর্দ্বন্দ্বই অর্ধেক হার এনে দিয়েছে। মণিপুর যে হাতে আসবে না তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। উত্তরাখণ্ডেও এক প্রকার অঘটন ঘটিয়েছে বিজেপি। ভোটের আগে পর্যন্ত এত মতবিরোধের মধ্যেও কিন্তু ভোটে ঠিক জয় বের করে এনেছে গেরুয়া শিবির। সেখানে তেমন কিছু করতেই পারেনি কংগ্রেস।
আপের কাছে শোচনীয় পরাজয়, আজই পদত্যাগ করতে চলেছেন চান্নি