রাহুল গান্ধীর উপর স্নুপগেট কেলেঙ্কারির ঘটনায় উত্তাল হল সংসদ, বিবৃতি অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির
নয়াদিল্লি, ১৬ মার্চ : রাহুল গান্ধীর উপর নজরদারির ঘটনায় উত্তাল হল রাজ্যসভা।
দিল্লি পুলিসের দল রাহুলের সম্পর্কে নানা বিষয় জানতে চেয়ে তার অফিসে হানা দেয়। এর পাশাপাশি তাঁর চুল ও চোখের রঙ, উচ্চতা, জুতোর মাপ এমনকী তাঁর বাবা-মায়ের নাম সব কিছুই জিজ্ঞাসা করা হয়। কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের অভিযোগ, কংগ্রেস সহ সভাপতির পিছনে চরবৃত্তি করছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। শুধু রাহুল গান্ধীর উপর নজরদারির ঘটনাই নয়, বিরোধীদের অভিযোগ, তাঁদের নেতাদের ফোনের উপরও গোপনে নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্র সরকার। যদিও দিল্লি পুলিশ সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে।
বিজেপি নেতৃত্বের তরফে বেঙ্কাইয়া নাইডু সব অভিযোগ উড়িয়ে জানিয়েছেন, পুলিশ নিয়ম মাফিক সব খতিয়ে দেখছে। সরকার কোনওভাবেই এর সঙ্গে জড়িত নয়। পাল্টা হিসেবে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ অভিযোগ জানিয়েছেন যে, তিনি ১৯ বছর ধরে জেড প্লাস ক্যাটেগরিতে রয়েছেন। কিন্তু কখনও এরকম ঘটনার শিকার হননি।
অন্য বিরোধী দলগুলিও আজ লোকসভায় এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বিবৃতি দাবি করে। আজ সংসদে অরুণ জেটলি সরকারের পক্ষে জানান, দিল্লি পুলিশ নিয়ম মাফিক ভিভিআইপিদের খোঁজ নিতেই গিয়েছিল। এই নিয়ম কংগ্রেস আমল থেকেই চলছে। গোপনে খোঁজ নিতে গেলে প্রকাশ্যে এভাবে যায় না।
এর
আগে
নয়াদিল্লিতে
কংগ্রেসের
দলীয়
মুখপাত্র
আনন্দ
শর্মা
বলেন
"যখন
প্রশ্নটা
ব্যক্তিগত
অধিকারে
হস্তক্ষেপ
করার
তখন
সরকার
তার
উত্তর
দিতে
বাধ্য।"
দিল্লি
পুলিশের
বক্তব্য
নিরাপত্তার
স্বার্থে
এটা
তাদের
নিয়মমাফিক
অনুসন্ধান
ছিল।
রাহুল
গান্ধীর
ব্যক্তিগত
বিষয়ে
নাক
গলানোর
অভিযোগ
উড়িয়ে
দিল্লি
পুলিশের
দাবি
বিশিষ্ট
ব্যক্তিদের
সঙ্গে
সুসম্পর্ক
বজায়
রাখার
প্রচলিত
পদ্ধতির
অংশ
হিসাবেই
রাহুল
গান্ধীর
খোঁজ
নিতে
গিয়েছিলেন
তাঁরা।
এর
সঙ্গে
কোনও
ষড়যন্ত্রের
প্রশ্নই
ওঠে
না।