রাহুল গান্ধী নতুন ভূমিকায় ২০২৪-এর কৌশল রচনায়, নেপথ্যে কি পিকের ‘টোটকা’
রাহুল গান্ধী নতুন ভূমিকায় ২০২৪-এর কৌশল রচনায়, নেপথ্যে কি পিকের ‘টোটকা’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী ঐক্যের সুর তুলতেই কংগ্রেস সক্রিয় হতে শুরু করল দিল্লির রাজনীতিতে। ২০২৪-এর লক্ষ্যে দু-বছর পর ঘুম ভাঙল কংগ্রেসের। রাহুল গান্ধীকেও আবার পুরনো ফর্মে দেখা যাচ্ছে, অন্য চেহারায় আবির্ভুত হতে শুরু করেছে জাতীয় কংগ্রেস। প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠকের পর রাহুল গান্ধীকে অন্য ভূমিকায় দেখা যেতে শুরু করেছে।
রাহুল গান্ধী এবার নতুন ভূমিকায়
রাজনীতির ময়দানে রাহুল গান্ধীর ধারাবাহিকতার অভাব বারবার লক্ষ্যণীয় হয়েছে। তা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরেও তাঁকে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু ২০২৪-এর তিন বছর আগে তাঁকে পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদের মতো লাগতে শুরু করেছে। রাহুল গান্ধীকে এবার নতুন ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে এবার।
রাহুল গান্ধী অনেক বেশি সক্রিয়
সংসদের বাদল অধিবেশনে রাহুল গান্ধী অনেক বেশি সক্রিয়। বিরোধীদের এককাট্টা করে তিনি সংসদে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামছেন। প্রতিদিন নিয়ম করে কৌশল নিরূপণ করছেন সবাইকে নিয়ে। কংগ্রেসের নেতৃত্বে জোট বৈঠকে অংশ নিচ্ছে তৃণমূলও। কংগ্রেস-তৃণমূলসহ ১৮টি দল এক জোট হয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
২০২৪-এর লক্ষ্যে অভিযানে রাহুল
একুশে জুলাইয়ের আগে তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক হয় রাহুল গান্ধীর। রাহুল গান্ধীর বাসভবনে পুরো গান্ধী পরিবারের সঙ্গে পিকের বৈঠকের পর থেকেই বদল শুরু হয়েছে। অন্য ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেসকে। ২০২৪-এর লক্ষ্যে অভিযান শুরু করে দিয়েছেন তিনি।
তৃণমূল-কংগ্রেস সম্মিলিত রূপে
একুশে জুলাই শহিদ দিবসে মমতার ঐক্যের ডাক সাড়া দিয়ে হাজির থেকেছে কংগ্রেস। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরে দুই দলকে দেখা গিয়েছে হাতে হাত ধরে এগোতে। প্রথ দুটি জোট বৈঠকে তৃণমূল উপস্থিত না হলেও সোনিয়া-রাহুলের সঙ্গে মমতার বৈঠকের পর সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব দূর করে তৃণমূল-কংগ্রেসকে সম্মিলিত হতে দেখা গিয়েছে।
একেবারে ভিন্ন ভূমিকায় রাহুল
২০২২-এ উত্তরপ্রদেশ-গুজরাটসহ বহু রাজ্যেই ভোট রয়েছে। তারপর ২০০২৩-এ কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান-সহ একাধিক বড় রাজ্যে ভোট। তারপর মহাসংগ্রাম ২০২৪-এ। তার আগে কংগ্রেস লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। জোটকে সম্মিলিত করার চেষ্টা করছে। তার জন্য একেবারে ভিন্ন ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে রাহুল গান্ধীকে।
সংসদের ভিতরে-বাইরে সক্রিয় রাহুল
২০১৯-এ নরেন্দ্রে মোদীর বিজেপির কছে পর্যুদস্ত হওয়ার পর নিজেকে কংগ্রেসের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। সেই থেকে কংগ্রেস কোনও স্থায়ী সবাপতি পায়নি। সোনিয়া গান্দীই অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী হিসেবে দল চালাচ্ছেন। কংগ্রেসকেও সক্রিয় হতে দেখা যায়নি বিগত দু-বছরে। হঠাৎ বদলে গেল কংগ্রেসের ভূমিকা। সংসদের ভিতরে-বাইরে সক্রিয় হয়ে উঠলেন রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি-বিরোধী দলগুলির সাংসদরা।
২০২৪-কে মাথায় রেখে কৌশল রাহুলের
২০২৪-কে মাথায় রেখে কৌশল তৈরি করছেন রাহুল গান্ধী। পেগাসাস থেকে শুরু করে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, কৃষি আইন, করোনা, কর্মসংস্থান ও বেকারত্ব নিয়ে পরিকল্পিত কৌশল রচনা করে এগোচ্ছেন রাহুল গান্ধী অ্যান্ড কোং। রাহুলকে এভাবে নেতৃত্ব দিতে আগে দেখা যায়নি। রাহুলকে এই নয়া ভূমিকা দেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এবার বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন কংগ্রেস ও বিরোধী ঐক্যকে।
সামনে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাহুল
রাহুল গান্ধী এবার মস্তিষ্ক দিয়ে লড়াইয়ে নেমেছেন। সামনে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিতে শিখেছেন। কংগ্রেস যে রাহুল গান্ধীকে পেতে চাইছিল, এবার তিনি সেই ভূমিকাতেই অবতীর্ণ হতে শুরু করেছেন মহাসংগ্রামের তিন বছর আগে থেকেই। এতদিন ধরে ধারাবাহিক নেতৃত্ব দিতে রাহুল গান্ধীকে আগে দেখেনি রাজনৈতিক মহল। তাই এবার অন্যরকম ছবি অনেক জল্পনার বাতাবরণ তৈরি করছে।
রাহুল গান্ধীর বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্বে ভরসা
ট্রাক্টরে চেপে সংসদে যাওয়া দিয়ে শুরু হয়ছিল রাহুলের প্রতিবাদ। এদিন সাইকেলে চেপে তিনি গেলেন সংসদে। তারপর বিভিন্ন ইস্যুতে রণনীতি তৈরি করতে বিরোধীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। বিজেপি বিরোধীরা দিল্লিতে একটা দল হয়ে উঠতে চাইছে। আর তা সম্ভব হচ্ছে রাহুল গান্ধীর বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্বে।
রাহুল পরতে পরতে বোঝাচ্ছেন তিনি তৈরি
রাহুল পরতে পরতে বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি আর আগের মতো খামখেয়ালি নেই। পিছিয়ে নেই তাঁর দলও। তিনি সুযোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে কংগ্রেসকে আবার তুলে আনছেন বিরোধীদের নেতৃত্বে। এদিন রাহুল প্রাতঃরাশ বৈঠকে দারুন সাড়া পেলেন বিরোধী দলগুলির। সবাইকে সম্মিলিত করার পাশাপাশি তৃণমূলের ঊজ্জ্বল উপস্থিতি অন্য মাত্রা দিল রাহুলের নেতৃত্বকে।