ফেসবুককাণ্ডে নয়া মোড়, এবার হোয়াটসঅ্যাপ-বিজেপি আঁতাত নিয়ে সরব রাহুল গান্ধী!
টাইম ম্যাগাজিনের একটি প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ফের বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। প্রসঙ্গত, টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বিজেপি-ফেসবুক আঁতাত নিয়ে লেখা ছিল। সেখানেই হোয়াটসঅ্যাপে বিজেপি নেতাদের ঘৃণাসূচক মন্তব্য অবাধে ফরোয়ার্ড করার বিষয়ে তোপ দাগিন রাহুল।

হোয়াটসঅ্যাপ-বিজেপি আঁতাত
এদিন টুইটে রাহুল লেখেন, 'আমেরিকার শীর্ষ টাইম ম্যাগাজিন হোয়াটসঅ্যাপ-বিজেপি আঁতাতের মুখোশ খুলে দিল। ভারতে ৪০ কোটি লোক হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। হোয়াটসঅ্যাপ পেমেন্ট অ্যাপও হতে চাইছে, যার জন্যে তাদের মোদী সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। এর জন্যেই বিজেপি হোয়াটসঅ্যাপের উপর কর্তৃত্ব ফলাচ্ছে।

ফেসবুক কাণ্ডে বিজেপি-কে আক্রমণ
কয়েকজন বিজেপি নেতা প্ররোচনামূলক পোস্ট করা সত্ত্বেও সেগুলির বিরুদ্ধে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এমনই অভিযোগ উঠে এসেছে বিদেশের প্রথম সারির এক সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে। এরপরই প্রথমার টুইটারে বিজেপি-কে আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধী। তবে রাহুলের এহেন দাবিকে উড়িয়ে দেয় ফেসবুক।

বিজেপি ও আরএসএস ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ন্ত্রণ করে
টুইটারে ওই সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের ছবি পোস্ট করে রাহুল গান্ধী লিখেছিলেন, ভারতে বিজেপি ও আরএসএস ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এটার মাধ্যমে ভুয়ো খবর ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয় এবং ভোটারদের প্রভাবিত করে। অবশেষে সত্যিটা সামনে এনেছে আমেরিকার সংবাদমাধ্যম।

কী বলেন ফেসবুকের মুখপাত্র
তবে এই বিষয়ে ফেসবুকের মুখপাত্র বলেন, 'আমরা সকল ধরনের বিদ্বেষমূলক ভাষণ বা কনটেন্টের উপর নিষেধআজ্ঞা জারি করি যা কি না হিংসা ছড়াতে পারে। এটা বিশ্বজুড়ে একই পলিসির মাধ্যমে আমরা করে থাকি। এতে আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষপাত করি না। আমরা প্রতিনিয়ত এই বিষয়ে অডিট চালাই। আমরা আরও স্বচ্ছতা ও সঠিক তথ্য প্রকাশের বিষয়ে অনেক দূর এগোতে সক্ষম হয়েছি।'

বিদ্বেষ মূলক মন্তব্যকে অনুমোদন নিয়ে জেরবার ফেসবুকে
ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে গোটা বিশ্বেই তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে বিদ্বেষ মূলক মন্তব্যকে অনুমোদন দেওয়া হয় না। সবটাই নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে সংস্থার তরফে। ফেসবুকের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ একেবারেই মিথ্যে ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। ফেসবুকের বিরুদ্ধে বিজেপিকে মদত দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে একাধিক মন্ত্রীও।