লোকসভায় ভরাডুবির পরও জনপ্রিয়তার নিরিখে মা সনিয়াকে টেক্কা রাহুলের! বলছে সমীক্ষা
লোকসভায় ভরাডুবির পরও জনপ্রিয়তার নিরিখে মাকে টেক্কা রাহুলের! বলছে সমীক্ষা
২০১৪ সালের পর ২০১৯ সালেও লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয় জাতীয় কংগ্রেসের। গান্ধী পরিবারের বহুদিনের আসন আমেঠি থেকে হারেন রাহুল গান্ধীও। সনিয়া গান্ধী নিজে অবশ্য জিতে যান রায়বরেলি থেকে। এরপরই হারের দায় নিয়ে দলের প্রধান পদ থেকে সরে দাঁড়ান রাহুল গান্ধী। তাঁর স্থানে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তাঁর মা সনিয়া গান্ধী। তবে সদ্য সম্পন্ন হওয়া আইএনএস-সিভোটারের 'স্টেট অফ দ্য নেশন' শীর্ষক সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে বর্তমানে সনিয়া গান্ধীর থেকে বেশি জনপ্রিয় রাহুল গান্ধী।
সনিয়ার কাজের খতিয়ান
সমীক্ষায় জানা গিয়েছে ৪৯.৫ শতাংশ মানুষ সনিয়া গান্ধীর কাজে সন্তুষ্ট। গতবছর অগাস্টে কংগ্রেসের দায়িত্বভার সামলানোর পর থেকে ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্রে জোট সরকার গড়তে সক্ষম হয়েছেন সনিয়া গান্ধী। হরিায়ানাতে দল সরকার গঠন না করতে পারলেও ভালো ফল করে। তবে তা সত্ত্বেও জনপ্রিয়তার নিরিখে রাহুলের থেকে পিছিয়েই থাকেন সনিয়া।
সনিয়ার জনপ্রিয়তা
সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে সনিয়াকে নিয়ে সব থেকে সন্তুষ্ট তেলাঙ্গানার মানুষ। সেখানে ৫০.৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন যে সনিয়া দলের জন্যে ভালো কাজ করছেন। এরপর কেরলেও তাঁর কাজে সন্তুষ্ট ৪৩.৩ শতাংশ মানুষ। অন্ধ্রপ্রদেশে সনিয়ার উপর সন্তুষ্ট ৩৭.৯ শতাংশ মানুষ। এদিকে হিমাচল প্রদেশের মানুষরা মোটেই সন্তুষ্ট নয় সনিয়ার প্রতি। সেই রাজ্যে মাত্র ১৪.৫ শতাংশ মানুষ সনিয়ার কাজে সন্তুষ্ট বলে জানাচ্ছে।
মাকে টেক্কা রাহুলের
এদিকে দক্ষিণ ভারতে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন রাহুল গান্ধী। বর্তমানে কেরলের ওয়াইনাডের সাংসদ রাহুলের কাজে সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছে সেই রাজ্যের ৫১.৯ শতাংশ মানুষ। পুদুচেরিতে রাহুলের পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন ৭৬ শতাংশ মানুষ। তবে হরিয়ানাতে তাঁর জনপ্রিয়তা সব থেকে কম। রাহুলের কাজে সেই রাজ্যে সন্তুষ্ট মানুষের হার মাত্র ১৭.৭ শতাংশ।
২০১৫ সালে নির্বাচনের রেকর্ড ভাঙতে চায় আপ, মানুষকে ভোটের আর্জি কেজরিওয়ালের