শপথের মঞ্চে মোদীকে হারানোর শপথ নিতে লাইন আঞ্চলিক দলগুলির, তৈরি কংগ্রেসও
কর্ণাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর শপথ গ্রহণের মঞ্চ আদতে রূপ নিচ্ছে নরেন্দ্র মোদী বিরোধী জোটের মঞ্চে। বিজেপিকে হারাতে শপথ মঞ্চেই জোট বাঁধার শপথ নেবেন কংগ্রেস ছাড়াও বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের নেতারা।
কর্ণাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর শপথ গ্রহণের মঞ্চ আদতে রূপ নিচ্ছে নরেন্দ্র মোদী বিরোধী জোটের মঞ্চে। বিজেপিকে হারাতে শপথ মঞ্চেই জোট বাঁধার শপথ নেবেন কংগ্রেস ছাড়াও বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের নেতারা। সেই তালিকায় যেমন রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রয়েছেন চন্দ্রবাবু নাইডু, চন্দ্রশেখর, অখিলেশ-মায়াবতীর মতো নেতা-নেত্রীরাও।
মঙ্গলবার বিকেলেই বেঙ্গালুরুর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীরাও। সব মিলিয়ে ১১ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে। আর থাকবেন পাঁচ অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও। বিজেপির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হয়ে এই সরকার গড়ছে কংগ্রেস ও জেডিএস। এই সরকারের মতোই ২০১৯-এ বিজেপিকে হটাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে চায় সব দল। একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দিয়ে নরেন্দ্র মোদী শাসনের অবসান ঘটানোই কংগ্রেস ও আঞ্চলিক দলগুলির উদ্দেশ্য।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী স্বয়ং বিরোধীদের এককাট্টা মনোভাব দেখে বার্তা দিয়েছেন বিজেপিকে একযোগে হারানোর। ২০১৯-এর লক্ষ্যে তাঁর এই মহাজোট বার্তার পর বুধবার কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের শপথ গ্রহণ মঞ্চ থেকেই মোদী বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর কাজ শুরু হয়ে গেল।
২০১৯-এর লক্ষ্যে বিরোধী ঐক্য তৈরি করার প্রয়াস চলছে অনেকদিন ধরে। সেই বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে একধার থেকে সমস্ত বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা আরও একবার এক মঞ্চে আসছেন কর্ণাটকে জোট সরকারের শপথ গ্রহণের সৌজন্যে। অবিজেপি সমস্ত সরকার ও দলের নেতৃত্বকে ফোন করা হয়েছে, আমন্ত্রণ জানানোর হয়েছে প্রত্যেককে। প্রত্যেকেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। শারদ পাওয়ার থেকে শুরু করে সীতারাম ইয়েচুরি শারদ যাদবদেরও উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা প্রবল।
কর্ণাটকে জোট সরকারের সমীকরণ তৈরি হয়ে গিয়েছে। সোমবারই দিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন ভাবী মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। এবার জোট সরকারে বেশি আসন পেয়েও জেডিএসকে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়ে দিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নিচ্ছে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ। জি পরমেশ্বর উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। অর্থ-সহ ২২ মন্ত্রী পাচ্ছে কংগ্রেস। আর জেডিএস পাচ্ছে ১২ মন্ত্রী।