মোদী-ট্রাম্পের বন্ধুত্ব নিয়ে কটাক্ষ, ওষুধ রফতানি নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগে কী বললেন রাহুল?
করোনা প্রকোপ থেকে বাঁচার কোনও ওষুধ বা প্রতিষেধকই বাজারে আসেনি এখনও। বেশ কয়েকটি দেশ করোনার ওষুধ আবিষ্কার করার দাবি জানালেও তা এখনও পরীক্ষিত নয়। তাই বর্তমানে সবারই ভরসা হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বিশ্বের সংহতি ও সহযোগিতা বজায় রাখতে ভারত ওষুধ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। তবে আন্তর্জাতি মঞ্চে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো হলেও দেশে এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
|
বন্ধুত্ব নিয়ে খোঁচা দেন রাহুল গান্ধী
ওষুধ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা তোলার কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পরই এই নিয়ে তোপ দাগেন রাগুল গান্ধী। ইংরেজি ও হিন্দি দুই ভাষাতে দুটি পৃথক টুইট করে কেন্দ্রকে ট্রাম্পের সঙ্গে কেন্দ্রের বন্ধুত্ব নিয়ে খোঁচা দেন রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি রফতানির আগে দেশের মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত রাখার দাবিও তোলেন রাহুল।
|
কী বললেন রাহুল?
টুইটে রাহুল লেখেন, 'বন্ধুত্ব কখনও চাপ সৃষ্টি করতে সেখায় না। ভারতের উচিৎ যেই সব দেশের ওষুধের প্রয়োজন তাদের সাহায্য করা। এটা খুব কঠিন সময়। তবে তার আগে ভারতীয়দের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত রাখার পর সেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিৎ।'
ভারতকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
প্রসঙ্গত, সোমবার করোনা ভাইরাস টাস্কফোর্স ব্রিফিংয়ের সময় হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, 'ভারত আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খুব ভাল ব্যবহারই করছে এবং আমি এমন কোনও কারণ দেখতে পাচ্ছি না যে আমেরিকায় ওষুধের রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে। আমি রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমি বলেছি যে আপনি যদি আমাদের হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন সরবরাহ করেন তবে আমরা এই পদক্ষেপকে সম্মান করব। যদি তা না করেন তবেও আমাদের কিছু বলার নেই। কিন্তু হ্যাঁ, আমাদের থেকেও এরপর এমনই ব্যবহার পাবেন তা জেনে রাখবেন।'
কী বলছে বিদেশমন্ত্রক?
এরপরই ভারত ওষুধ রফতানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব এই বিষয়ে বলেন, 'মহামারীর প্রভাব দেখে ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আন্তর্জাতিক বিশ্বের সংহতি ও সহযোগিতা বজায় রাখবে দেশ। করোনা ভাইরাস থেকে নিরাময়ে সক্ষম প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হবে অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতেও। মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ভারত নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী বেশ কিছু প্রতিবেশী দেশে উপযুক্ত পরিমাণে প্যারাসিটামল এবং হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন সরবরাহ করবে। আমরা এমন কিছু দেশকেই এই প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করব যারা এই মহামারীতে খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে।'