রাহুলই থাকছেন কংগ্রেসের সভাপতি, লোকসভায় ভরাডুবির পর অবশেষে নাটকের যবনিকা পতন
কংগ্রেসের সভাপতি থাকছেন রাহুল গান্ধীই। শেষমেশ যবনিকা পতন হল রাহুলের ইস্তফা নাটকের। কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বুধবার সাফ জানিয়ে দেন, রাহুল গান্ধীকে নিয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটেছে।
কংগ্রেসের সভাপতি থাকছেন রাহুল গান্ধীই। শেষমেশ যবনিকা পতন হল রাহুলের ইস্তফা নাটকের। কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিং সূরযেওয়ালা বুধবার সাফ জানিয়ে দেন, রাহুল গান্ধীকে নিয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটেছে। তিনি সভাপতি ছিলেন, তিনি সভাপতি আছেন এবং তিনিই ভবিষ্যতে সভাপতি থাকবেন। অবশেষে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তিনি।
লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। রাহুলের ইস্তফাপত্র প্রত্যাখ্যান করে দল। তারপর রাহুল অনড় ছিলেন সিদ্ধান্তে। সব মহল থেকেই তাঁর কাছে অনুরোধ আসছিল সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের। শেষপর্যন্ত দু-সপ্তাহের নাটক শেষ হল। ইস্তফার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন রাহুল।
রাহুল জানিয়েছিলেন, তিনি আর সভাপতি থাকতে চান না। এমনকী তিনি চান না কংগ্রেস সভাপতি হন গান্ধী পরিবারের কেউ। গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ সভাপতি হলেই দলের বালো হবে বলে মত প্রকাশ করেন রাহুল। কিন্তু দলের কার্যনির্বাহী কমিটির দাবি, গান্ধী পরিবারের কেউ সভাপতি হলেই দলের সংঘবদ্ধতা বজায় থাকবে।
রাহুল তাঁর সিদ্ধান্ত অনড় থাকায় দলের নেতারা পালা করে রাহুলকে বোঝানো শুরু করেন। বোধঝানো হয় দলের শীর্ষ পদে রাহুলের থাকাটা কংগ্রেসের জন্য কতটা জরুরি। কেউ কেউ রক্ত দিয়েও চিঠি লিখে রাহুলকে সভাপতি থাকার বার্তা পাঠান। সমস্ত রাজ্য কমিটি থেকেই রাহুলকে সভাপতি পদে বহাল রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
কিন্তু তা সত্ত্বেও সভাপতির পদ থেকে ইস্তফার ব্যাপারে অনড় ছিলেন রাহুল। নাটক যখন অন্তিমে, তখন দলের কোর কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় রাহুলই থাকছেন সভাপতি। কোনও অন্তর্বর্তী সভাপতি বেছে নেওয়া হচ্ছে না। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বেই লড়বে কংগ্রেস। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড ও জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভায় নির্বাচনে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন। আমরা আবার জয় করব। এই ভরাডুবি থেকে ঘুরে দাঁড়াবো। এখন দেখার দলের এই সিদ্ধান্ত রাহুল গান্ধী মেনে নেন কি না।