জলন্ধর থেকে স্বর্ণমন্দির, দিনভর পাঞ্জাবে নির্বাচনের প্রচার করলেন রাহুল গান্ধী
জলন্ধর থেকে স্বর্ণমন্দির, দিনভর পাঞ্জাবে নির্বাচনের প্রচার করলেন রাহুল গান্ধী
একদিনের পাঞ্জাব সফরে গেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সারাদিন ধরে তিনি পাঞ্জাবের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ান। বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানগুলি এদিন তিনি দর্শন করেন। এরপর ১০৯ জন প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করেন। কারণ আগামী মাসেই পাঞ্জাবে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন।
বৃহস্পতিবার থেকে পঞ্জাবে ভোট প্রচার শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এদিন প্রথমেই কংগ্রেস নেতা কর্মীদের সঙ্গে তিনি স্বর্ণ মন্দিরে গিয়েছিলেন। সেখানেই মধ্যাহ্নভোজন করেন। সেই অনুষ্ঠানে পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধু ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চন্নিকে দেখা গেলেও একটা সময় গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিয় মণিষ তিওয়ারিকে দেখা যায়নি। ছিলেন না রাহুল গান্ধীর অন্যতম ঘনিষ্ট কংগ্রেস নেতা রভনীত বিট্টুও। দলীয় সূত্রের খবর মণীষ তিওয়ারি, রভনীত বুট্টুসহ পাঁচ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে যোগ্য নেতা বলে মনে করেন না। তাই তাঁর নির্বাচনী প্রচারে উপস্থিত থাকবেন না। অমৃতসরে দলের অন্য কর্মসূচিতেও এঁরা অনুপস্থিত ছিলেন। যদিও কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল বলেছেন এই দাবিগুলি খুবই ভিত্তিহীন। পাঁচ কংগ্রেস সাংসদ থাকবেন রহুল গান্ধীর সভায়।
কংগ্রেস নেতা এদিন যান অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে। এরপরেই জলন্ধরে ছিল তাঁর ভার্চুয়াল জনসভা। এরপর তিনি যান মিঠাপুর। দিল্লি ফেরার আগে তিনি আরও একটি জনসভা করে ফিরবেন। এর আগে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিত সিমহা চান্নি এবং রাজ্য প্রধান নভোজ্যত সিং সিধু , উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং রানধাওয়া এবং ওপি সোনি তাঁকে অমৃৎসর বিমানবন্দর থেকে স্বাগত জানিয়ে নিয়ে আসেন। এদিন রাহুল গান্ধী সবার সঙ্গে বসে লঙ্গার খান। প্রসঙ্গত নির্বাচন ঘোষণা হবার পর থেকে এটাই ছিল রাহুল গান্ধীর প্রথম পাঞ্জাব সফর। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ রাজ্যের ভোটে কোনওরকম রোড শো করা যাবে না। তাই সবার মতো রাহুল গান্ধীও ভার্চুয়াল সভা করে প্রচার সারলেন।
এদিকে সমীক্ষা বলছে, পাঞ্জাবে ক্ষমতায় আসতে পারে আপ। এখানে আপ ৫০-৫৬ টি আসন পেতে পারে। কংগ্রেস জিততে পারে ৪২-৪৮ টি আসন। বিজেপি ১-৩ টি আসন। এসএডি জিততে পারে ১৩-১৭টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ৩৫.১ শতাংশ ভোট।আপ ৩৭.৮ ও বিজেপি পেতে পারে ৫.৭ শতাংশ ভোট।শতাংশ ভোট পেতে পারে।