অশোক গেহলট বনাম শচীন পাইলট নিয়ে সংকট নেই, কংগ্রেসে ‘বিশ্বাসে’র কথা রাহুলের মুখে
রাজস্থানে কংগ্রেসের গৃহবিবাদ অব্যাহত। অশোক গেহলট বনাম শচীন পাইলটের দ্বন্দ্বে কংগ্রেস মরু-রাজ্যে ব্যাকফুটে চলে গেলেও রাহুল গান্ধী আশাবাদী। তিনি সাফ জানিয়েছেবন, রাজস্থান সংকট ভারত জোড়ো যাত্রাকে কোনওরূপ প্রভাবিত করবে না।
রাজস্থানে কংগ্রেসের গৃহবিবাদ অব্যাহত। অশোক গেহলট বনাম শচীন পাইলটের দ্বন্দ্বে কংগ্রেস মরু-রাজ্যে ব্যাকফুটে চলে গেলেও রাহুল গান্ধী আশাবাদী। তিনি সাফ জানিয়েছেবন, রাজস্থান সংকট ভারত জোড়ো যাত্রাকে কোনওরূপ প্রভাবিত করবে না। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল গান্ধী বলেন, অশেক গেহলট ও শচীন পাইলট উভয়েই দলের সম্পদ।
কংগ্রেসের অন্যতম প্রধান মুখ তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, অশোক গেহলট ও শচীন পাইলটের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সংঘাত রয়েছে। তা কখনই কংগ্রেসের যাত্রাকে প্রভাবিত করবে না। উভয়েই কংগ্রেস অনন্ত প্রাণ। কংগ্রেসের ক্ষতি হোক এমন কাজ তাঁরা করবেন না। কংগ্রেসের জন্য তাঁরা এক হয়ে কাজ করবেন, এটা তাঁর বিশ্বাস।
রাহুল গান্ধীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভারত জোড়ো যাত্রা কি তাঁর আরও আগে করা উচিত ছিল? সেই প্রশ্নের উত্তরে রাহুল গান্ধী বলেন, তিনি এক বছর আগে এই পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু মহামারীর কারণে তা কার্যকর করে উঠতে পারেনি। তাঁর মতে এটাই ভারত পরিক্রমা বা ভার জোড়ো যাত্রা করার সেরা সময়।
রাহুল বলেন, ভারত জোড়ো যাত্রা সমগ্র জাতির আওয়াজ তুলছে। সমগ্র জাতিকে এক সূত্রে বাঁধতেই এই ভারত জোড়ো যাত্রার উদ্যোগ। ভারত চালানো একটা গতিশীল প্রক্রিয়া, যেখানে আপনাকে দেশের মানুষের কথা শুনতে হবে। দেশের মানুষ যে রায় দেবে, তা আপনাকে মেনে নিতে হবে। কিন্তু বিজেপি এবং আরএসএস ভারতের কথা শুনছে না। তারা কঠোর হয়ে দেশ চালাচ্ছে। দেশবাসীর প্রতি কোনও সহানুভূতি নেই।
বিজেপি ও আরএসএসকে নিশানা করে রাহুল গান্ধী আরও বলেন, দেশে স্পষ্ট বেসরকারিকরণ চলছে, যেখানে স্কুল, কলেজ ও হাসপাতালগুলিকে বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে। আমরা চাই শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা সরকারের দায়িত্ব হওয়া উচিত। এই দুই ক্ষেত্র কখনও ব্যবসায়ী দ্বারা চলতে পারে না।
এদিন বিজেপির নেতার আক্রমণের জবাবে রাহুল বলেন, বিজেপির সমস্যা হল তারা আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। কিন্তু এটা আমার জন্য উপকারী। কারণ আমি সত্যটা জানি। জানি যে, সত্য কখনও লুকনো যায় না। তাঁর কথায়, তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়, কারণ রাজনৈতিকভাবে তাঁরা মোকাবিলা করতে পারছে না। আর আপনি যদি বড় শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেন, তবে আপনার উপর ব্যক্তিগত আক্রমণ নেমে আসবে।
রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি এবার আমেঠি কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি না? এই কথার প্রত্যুত্তরে রাহুলের জবাব, এই প্রশ্নের উত্তর আগামী দিনে আপনারা পেয়ে যাবেন। তার জন্য এক থেকে দেড় বছর অপেক্ষা করতে হবে। বর্তমানে আমার একমাত্র ফোকাস ভারত জোড়ো যাত্রায়।