কংগ্রেস লোকসভায় কতগুলি আসনে লড়বে, কতগুলি ছাড়বে বিরোধীদের, চূড়ান্ত রূপরেখা
জোট-মন্ত্র নিয়ে লোকসভায় বিজেপিকে হারাতে যে কংগ্রেস সিদ্ধহস্ত, তা নিশ্চিত হয়ে গেল একপ্রকার। কংগ্রেস সাফ করে দিল, তাঁরা মন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছে- গোটা দেশেই তাঁরা মহাজোট গড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়া
জোট-মন্ত্র নিয়ে লোকসভায় বিজেপিকে হারাতে যে কংগ্রেস সিদ্ধহস্ত, তা নিশ্চিত হয়ে গেল একপ্রকার। কংগ্রেস সাফ করে দিল, তাঁরা মন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছে- গোটা দেশেই তাঁরা মহাজোট গড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। আঞ্চলিক দলগুলিকে প্রাধান্য দিতে মাত্র ২৫০ আসনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। দিল্লির রাজনৈতিক মহলে এখন কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্ত নিয়েই চর্চা চলছে।
কর্ণাটক মডেলে কংগ্রেস সচেষ্ট আঞ্চলিক দলগুলিকে প্রাধান্য দিতে। সেইভাবেই এখন থেকেই আসনরফা নিয়ে কথা চালাচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি সপা-বসপার মতো দলকে এক ঘাটে নিয়ে এসেছেন। ইতিমধ্যে দিল্লিতে আপের সঙ্গে আসন সমাঝোতা চূড়ান্ত করেছেন। এবার সরাসরি না বললেও কংগ্রেস মহলে খবর তারা মাত্র ২৫০ আসনে এবার লোকসভায় লড়তে চায়। ৫৪৩ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ২৫০ আসন! বাকি ২৯৩ আসন কংগ্রেস ছাড়তে চলেছে জোটসঙ্গীদের।
শুধু এখানেই থমকে নেই কংগ্রেস। জোটের রূপরেখা তৈরি করতে এ কে অ্যান্টনির নেতৃত্বে একটি কমিটিও তৈরি করেছে তারা। সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এই কমিটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কংগ্রেস আপাতত স্থির করেছেন, গতবার যে ৪৪টি আসনে জিতেছিল তারা, সেগুলি নিজেদের হাতেই রাখতে চাইছে। বাকি ২২৪টি আসনে কংগ্রেস দ্বিতীয় স্থান দখল করেছিল। সেই আসনগুলিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। এই কেন্দ্রগুলির মধ্যেই বেশিরভাগই মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, রাজস্থান, পাঞ্জাবের মতো রাজ্য। এইসব রাজ্যগুলিতে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস।
সেই হিসেবেই নিজেদের দখলে ২৫০টি আসন রেখে বাকিগুলি জোটসঙ্গীদের ছাড়তে চায় কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে আসনবণ্টন নিয়ে অসহমতি দেখা দিলে কংগ্রেস যে নমনীয় মনোভাব দেখাবে, তাও পরিষ্কার করে দিয়েছে নেতৃত্ব। সেইমতোই 'মিশন ২০১৯'-এর 'ভিশন' তৈরি করেছে কংগ্রেস।
উত্তরপ্রদেশে পিসি-ভাইপোর জুটিকে প্রাধান্য দিয়েই রাহুল গান্ধী আসন রফা করেছেন। উত্তরপ্রদেশের শক্তিধর দুই পক্ষকে সমান সমান আসন বণ্টন করে সমাধান সূত্র বাতলে দিয়েছেন রাহুল। সপা ও বসপা উভয়েই ৩০টি করে আসন ছেড়ে কংগ্রেস লড়বে ১০টি আসনে। আর বাকি ১০টি আসন ভাগ করে দেওয়া হবে আরএলডি-সহ অন্যান্য ছোট দলগুলির মধ্যে।
একইভাবে দিল্লিতে ২-৩টি আসন নিজেদের রেখে বাকি ৪-৫টি আসন আপকে ছাড়তেও রাজি। বাংলার ক্ষেত্রেও ন্যূনতম আসন রেখে তৃণমূলকে বেশিরভাগ আসন ছাড়তে দ্বিধা করবে না কংগ্রেস। তবে এক্ষেত্রে সিপিএমের অবস্থান বা সিপিএমকে কোন অবস্থানে রাখা হয় সেটা দেখার।