মোদী বিরোধিতায় মহাজোট উত্তরপ্রদেশে, রাহুলের দেওয়া সূত্রে রাজি ‘পিসি-ভাইপো’ জুটি
উত্তরপ্রদেশে পিসি-ভাইপোর জুটিকে প্রাধান্য দিয়েই রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে মহাজোট চূড়ান্ত হয়ে গেল। ‘মিশন ২০১৯’-এর ‘ভিশন’ প্রস্তুতই ছিল। শুধু বাকি ছিল আসন রফা।
উত্তরপ্রদেশে পিসি-ভাইপোর জুটিকে প্রাধান্য দিয়েই রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে মহাজোট চূড়ান্ত হয়ে গেল। 'মিশন ২০১৯'-এর 'ভিশন' প্রস্তুতই ছিল। শুধু বাকি ছিল আসন রফা। অবশেষে সেই রফাসূত্র স্থির করে ফেললেন রাহুল গান্ধী, মায়াবতী, অখিলেশ যাদব ও অজিত সিং-রা। মায়াবতীর দাবি মেনেই জোট রক্ষার্থে নমনীয় মনোভাব দেখালেন রাহুল ও অখিলেশ।
নয়া এই ফর্মুলায় মায়াবতী তাঁর দাবি মতো ৪০টি আসনে লড়বেন। ৩২টি আসন দেওয়া হয়েছে সমাজবাদী পার্টিকে। সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে আবার জোট রয়েছে অজিত সিংয়ের রাষ্ট্রীয় লোকদলের। অখিলেশ যাদবের দল তাই তাঁর ভাগের তিনটি আসন ছাড়বেন রাষ্ট্রীয় লোকদলকে। বাকি আটটি আসনে লড়বে কংগ্রেস। কংগ্রেসের এক পক্ষ চাইছে অন্তত ১০টি আসন। কিন্তু মহাজোটের প্রশ্নে দুটি আসন কমলেও বেশি জেদাজেদি করবে না কংগ্রেস।
সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব, বহুজন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতী ও রাষ্ট্রীয় লোকদলের অজিত সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকেই চূড়ান্ত হয়েছে আসন রফা। মহাজোটের সলতে পাকানোর কাজটা অনেক আগেই শুরু করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এতদিনে সেই মহাজোটকে চূড়ান্ত করা গেল উত্তরপ্রদেশে।
মায়াবতী আসন রফায় এক বিন্দুতে অবস্থান করলেও, সপা নেতা অখিলেশ যাদব স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশে বিরোধী ঐক্য হবেই। প্রয়োজনে মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টিকে বাড়তি আসন ছাড়তেও যে পিছপা হবেন না সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব তা জানিয়ে দিয়েছিলেন। অখিলেশের এই নমনীয় মনোভাব রাহুল গান্ধীকে সমাধান সূত্র বের করতে সাহায্য করেছিল। শেষপর্যন্ত সেই পথে হেঁটেই মহাজোট ফর্মুলা খুঁজে পেলেন তিনি।
এর আগে উত্তরপ্রদেশে সপা-বসপা জোট সফল হয়েছে। সেই সাফল্যের সরণি বেয়েই তাঁরা লোকসভায় বাজিমাত করতে চান। শুধু গোরক্ষপুর বা ফুলপুরই নয় কৈরানা ও নুরপুরেও বিজেপিকে মাত দিয়েছে পিসি-ভাইপোর জুটি। তাই এই জুটিকে অক্ষত রেখেই রাহুলের নেতৃত্বে নতুন সমীকরণ তৈরি হচ্ছে দেশে।
[আরও পড়ুন: সরকারিকর্মীরা আর পেনশন-পিএফ পাবেন না! পরিবর্তনের সরকারের সিদ্ধান্তে মাথায় হাত]
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, গতবার লোকসভায় উত্তরপ্রদেশ থেকে একটি আসনিও জিততে পারেননি মায়াবতী। গেরুয়া ঝড়ে কার্যত উড়ে গিয়েছিল তাঁর বহুজন সমাজবাদী পার্টি। অখিলেশের সমাজবাদী পার্টিও পাত্তা পায়নি বিজেপি ঝড়ের কাছে। মাত্র দুটি আসন পেয়েছিল সপা। একা বিজেপি পেয়েছিল ৭৩টি আসন। কিন্তু বর্তমানে আঞ্চলিক দলগুলির গুরুত্ব অপরিসীম হয়ে উঠেছে। এবং বিজেপির মতো শক্তধর প্রতিপক্ষও আঞ্চলিক দলগুলির একতার কাছে হার মানছে। কংগ্রেস চাইছে, সেই একতার শক্তিকেই কাজে লাগাতে।