'করোনা সংক্রমণের মাঝেই দেশী সংস্থাগুলিকে কিনে নেবে বিদেশিরা!'
এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের ১.০১ শতাংশ শেয়ার কিনেছে পিপলস ব্যাঙ্কল অফ চিন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর আগে থেকেই বাজারে মন্দার মেঘ ঘনিয়েছে। সেই সংকট ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছে। তার মধ্যেই ভারতের অন্যতম ঋণদায়ী সংস্থা এইচডিএফসি-র ১.০১ শতাংশ শেয়ার নিয়ে নিল পিপলস ব্যাঙ্ক অব চায়না।
এইচডিএফসি-র ১.০১ শতাংশ শেয়ার কেনে পিপলস ব্যাঙ্ক অব চায়না
গত আর্থিক বছরের শেষে ৩১ মার্চ বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ তথা বিএসই-তে এইচডিএফসি তাদের সংস্থার অংশীদারিত্ব নিয়ে বিবরণ পেশ করেছে তা থেকেই এই তথ্য জানা গিয়েছে। হিসাব মতো এইচডিএফসি-র ১.০১ শতাংশ তথা ১.৭৫ কোটি শেয়ার পিপলস ব্যাঙ্ক অব চায়নার কাছে রয়েছে।
করোনা সংকটের জেরে এইচডিএফসির শেয়ারে পতন
করোনা সংকটের পরিস্থিতি গত প্রায় এক মাস ধরে শেয়ার বাজারে এইচডিএফসি-র শেয়ার দর ক্রমশই পড়ছে। মোটামুটি ভাবে তাদের শেয়ার দর ২৫ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই এই শেয়ার কেনা বেচার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
লকডাউন নিয়ে ফের সরব হয়েছেন রাহুল
এই পরিস্থিতিতে লকডাউন নিয়ে ফের সরব হয়েছেন কংগ্রেসের সাংসদ রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধী রবিবার বলেছেন, 'করোনা সংক্রমণের জেরে মন্দার মুখে পড়বে দেশীয় সংস্থাগুলো। ফলে সেই ফাঁকে বাড়বাড়ন্ত ,হবে বিদেশি সংস্থাগুলোর। অধিগ্রহণ করা হতে পারে কিছু দেশীয় সংস্থা। এই অধিগ্রহণের হাত থেকে বাঁচাতে হবে দেশীয় সংস্থাগুলোকে।'
লকডাউনে প্রভাবিত হবে অর্থনীতি
ইতিমধ্যেই সংক্রমণের জেরে জারি হওয়া লকডাউনে প্রভাবিত হবে অর্থনীতি। ইঙ্গিত দিয়েছে একাধিক সংস্থা। করোনা ভাইরাস রুখতে দেশজুড়ে জারি হয়েছে লকডাউন। আর এর জেরে দেশের অর্থনীতির উপর খুব চাপ পড়ছে। খাদের কিনারায় ঝুলে রয়েছে অর্থনীতি। সৌজন্যে ভারতে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের প্রকোপ। গত কয়েক সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই নিয়ম করে শেয়ারবাজারে ধস নামছে বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কার জেরে। এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাসে কাটছাঁট করেছে এসবিআই-এর মতো সংস্থাও।
কর্মহীন ভাবে দিন কাটছে কয়েক কোটি মানুষের
করোনা ভাইরাস রুখতে বিশ্বজুড়ে লকডাউন পরিস্থিতিতে। গত তিন সপ্তাহ ধরে ভারতেও একই পরিস্থিতি। এর জেরে থমকে রয়েছে অর্থনীতি। যারা বাড়িতে বসে কাজ করতে পারছেন তারা করছেন, না হলে কর্মহীন ভাবে দিন কাটছে কয়েক কোটি মানুষের। এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতি যে ধসে যাবে তা প্রায় একপ্রকার নিশ্চিত। আর এই ধসের জেরে দেশে চাকরির অভাবও দেখা দিতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। পাশাপাশি চাকরি হারাচ্ছেন বহু মানুষ।