গান্ধী পরিবারের নিয়ন্ত্রণে কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি! তীব্র প্রতিক্রিয়া রাহুল গান্ধীর
‘কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি গান্ধী পরিবারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না,’ মন্তব্য রাহুল গান্ধীর
রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের উজ্জীবিত করতেই এই কর্মসূচি বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করলেও রাহুল গান্ধী জানান, বেকারত্ব ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আরএসএস ও বিজেপি দেশভাগের একটি চক্রান্ত করছেন, তার বিরোধিতা করে দেশকে জুড়তেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরবর্তী সভাপতি গান্ধী পরিবারের নিয়ন্ত্রণে
শনিবার ভারত জোড়ো যাত্রার মধ্যেই কর্ণাটকে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখেন রাহুল গান্ধী। সেখানে উঠে আগে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে গান্ধী পরিবারের কেউ অংশ নিচ্ছেন না তা নিশ্চিত। জল্পনা উঠতে শুরু করেছে, কংগ্রেসের পরবর্তী যিনি সভাপতি হবেন, তিনি গান্ধী পরিবারের নিয়ন্ত্রণে থাকবেন। সেই জল্পনাকে রাহুল গান্ধী অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, কংগ্রেসের কোনও নেতাই কারও নিয়ন্ত্রণে থাকেন না। যিনি সভাপতি হবেন, তিনিও কারনও নিয়ন্ত্রণে থাকবেন না। তিনি বলেন, এই ধরনের গান্ধী পরিবারের সদস্য ও পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি উভয়ের জন্যই অপমানজনক।
পিএফআই প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে এনআইএ ও ইডির আধিকারিকরা পিএফআই-এর শতাধিক নথি নেতাকে গ্রেফতার করেছে। বহু নথি, ল্যাপটপ ও মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে। এই প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী বলেন, 'যাঁরা দেশের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াচ্ছেন, তাঁদের কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। যিনি ঘৃণা ছাড়াচ্ছেন দেশের বিরুদ্ধে, তাঁকে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে। কিন্তু তাই বলে একটি সম্পূর্ণ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগ করা যেতে পারে না।'
জাতীয় শিক্ষা নীতি
জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল গান্ধী জাতীয় শিক্ষা নীতির বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, এই নীতি আমাদের দেশের নীতির বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, 'আমরা নতুন শিক্ষানীতির বিরোধিতা করছি কারণ এটি আমাদের দেশের নীতির উপর আক্রমণ, এটি আমাদের ইতিহাসকে বিকৃত করে। এটি কিছু লোকের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করে। আমরা একটি বিকেন্দ্রীভূত শিক্ষা ব্যবস্থা চাই যা আমাদের সংস্কৃতিকে প্রতিফলিত করে।'
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রচার বিজেপির
রাহুল গান্ধী বলেন, যাতে সাধারণ মানুষের মনে কংগ্রেসের মধ্যে ক্ষোভ জন্মায় তার জন্য বিজেপি ও আরএসএসের দল কোটি কোটি অর্থ মিডিয়ায় ব্যয় করছে। কংগ্রেসের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বিজেপি সব ধরনের চেষ্টা করছে। মিডিয়াগুলো ক্রমাগত কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রচার চলাচ্ছে।
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের আরএসএসের কোনও ভূমিকা নেই বলেও রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আরএসএস ব্রিটিশদের সাহায্য করেছিলেন। বিজেপি চাইলেও এই ধরনের সত্য গোপন করতে পারবে না। তিনি বলেন, 'আরএসএস ব্রিটিশদের সাহায্য করছিল এবং সাভারকার ব্রিটিশদের কাছ সম্মানিত হয়েছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে বিজেপিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিজেপি এমন ঘটনা আড়াল করতে পারে না। কংগ্রেস এবং তার নেতারা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিল।'