বিজেপিতে 'ব্যাকবেঞ্চার', কংগ্রেসেই ফিরবেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া! রাহুল গান্ধীর দাবি ঘিরে জল্পনা
কলেজ জীবনের বন্ধু এভাবে ছেড়ে চলে যাবে, তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি৷ তাই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া গেরুয়া পতকা ধরার দিনই রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, 'উনিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি কোনওদিন-যে কোনও সময় আমার বাড়িতে আসতে পারতেন৷' প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি দাবি করেছিলেন, 'বাস্তব এটাই যে বিজেপিতে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সেই সম্মান পাবেন না, সন্তুষ্টও হবেন না৷' আর এবার ফের সিন্ধিয়াকে বিজেপির 'ব্যাক বেঞ্চার' বলে কটাক্ষ করলেন রাহুল গান্ধী।
কংগ্রেসে থাকলে মুখ্যমন্ত্রী হতেন সিন্ধিয়া
রাহুল এদিন বলেন, 'যদি তিনি (জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া) কংগ্রেসে থাকতেন, মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন। এখন বিজেপিতে গিয়ে ব্যাকবেঞ্চার হয়ে গেছেন। কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কাজ করে দলকে ভাল জায়গায় নিয়ে যেতে পারতেন সিন্ধিয়া। আমিও বলেছিলাম, আপনি একদিন মুখ্যমন্ত্রী হবেন। কিন্তু উনি অন্য রাস্তা বেছে নিলেন।'
বিজেপিতে থেকে কোনওদিন মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না সিন্ধিয়া
এদিন রাহুল আরও দাবি করেন, 'বিজেপিতে থেকে কোনওদিন মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না উনি। তার জন্য এখানেই ফিরে আসতে হবে।' উল্লেখ্য, ১৮ বছর ধরে কংগ্রেসে ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য৷ রাহুল ঘনিষ্ট বলে পরিচিত ছিলেন রাজনৈতিক মহলে৷ দলের একাধিক গুরু দায়িত্বও সামলেছিলেন৷ তাঁকে রাহুল ব্রিগেডের 'সেকেন্ড ম্য়ান' মনে করা হত৷
নির্বাচনে কংগ্রেস জেতার পর মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার ছিলেন সিন্ধিয়া
এর আগে ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস জয়ী হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার তিনিও ছিলেন৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী করা হয় কমল নাথকে৷ হয়তো সেই থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে৷ এরপর জোর জল্পনা ছিল যে রাজ্যসভায় মধ্যপ্রদেশ থেকে কংগ্রেসের প্রথম পছন্দ হবেন তিনি৷ কিন্তু সেখানেও ধাক্কা৷ তাঁর পরিবর্তে দলের প্রবীণ নেতা দিগ্বিজয় সিংয়ের নাম উঠে আসে৷ আর সেই সুযোগটাই নেয় বিজেপি৷
সরকার ফেলার নেপথ্যে ছিলেন সিন্ধিয়া
১০ মার্চ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর রাজনৈতিক মহলে সিন্ধিয়া-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আরও ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক গত সপ্তাহে ইস্তফাপত্র জমা দেন৷ তারপর মধ্যপ্রদেশের বিজেপি শিবির কমল নাথ সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে৷ এরপরই আস্থা ভোটে হেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন কমল নাথ।