মোদী সরকারের কারণেই কাছাকাছি চিন-পাকিস্তান! রাহুলকে ইতিহাস মনে করালেন জয়শঙ্কর
লোকসভাতে দাঁড়িয়ে ফের একবার মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানালেন রাহুল গান্ধী! একাধিক ইস্যুতে তোপ তাঁর। শুধু তাই নয়, বিদেশ নীতি নিয়েও মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা শোনা যায় রাহুল গান্ধীর মুখে। বলেন, সরকারের বিদেশ নীতির কারনেই
লোকসভাতে দাঁড়িয়ে ফের একবার মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানালেন রাহুল গান্ধী! একাধিক ইস্যুতে তোপ তাঁর। শুধু তাই নয়, বিদেশ নীতি নিয়েও মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা শোনা যায় রাহুল গান্ধীর মুখে। বলেন, সরকারের বিদেশ নীতির কারনেই চিন এবং পাকিস্তান একজোট হওয়ার সাহস দেখিয়েছে।
শুধু তাই নয়, এই নীতির কারনেই এই বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে কোনও বিদেশী নেতা আমন্ত্রিত হয়ে ভারতে আসেনি বলেও তোপ কংগ্রেস সাংসদের। তাঁর এহেন মন্তব্যে কার্যত চরম অস্বস্তিতে বিজেপি সরকার। যদিও পালটা রাহুল গান্ধীকে এই বিষয়ে তোপ দেগেছেন বিদেশমন্ত্রী জয় শঙ্কর।
সোশ্যাল মিডিয়াতে এদিন বিদেশমন্ত্রী লেখেন, রাহুল গান্ধী বলছেন বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতে কোনও অতিথি আসেননি প্রজাতন্ত্র দিবসে। কিন্তু দেশের মানুষ জানে এই মুহূর্তে দেশে করোনার থার্ড ওয়েভ চলছে। মধ্য এশিয়ার পাঁচ রাষ্ট্রপতির এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারনে কেউ আসতে পারেনি।
তবে ২৭ তারিখ ভার্চুয়ালের মাধ্যমে সমস্ত অতিথিরা সাবমিটে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু লোকসভায় তা বলতে রাহুল গান্ধী ভুলে গিয়েছেন বলে দাবি জয় শঙ্করের।
শুধু তাই নয়, এদিন তিনি আরও বলেন, চিন এবং পাকিস্তানের মধ্যে বন্ধুত্ব কোথাও নেই। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে ১৯৭০ সালে ঘনিষ্ঠ পরমানু সহযোগ ছিল। শুধু তাই নয়, ২০১৩ সালে চিন এবং পাকিস্তানের মধ্যে আর্থিক করিডর তৈরির কাজ শুরু হয়। রাহুল গান্ধীর নিজেকে প্রশ্ন করা উচিৎ যে সেই সময়ে চিন এবং পাকিস্তান দূরে ছিল?
"Rahul Gandhi alleged in Lok Sabha that it is this Government that brought Pakistan and China together. Perhaps, some history lessons are in order...," tweets External Affairs Minister (EAM) Dr S Jaishankar pic.twitter.com/QpqgYtqf6U
— ANI (@ANI) February 2, 2022
শুধু তিনিই নয়, এই প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধীকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন প্রহ্লাদ জোশী। তিনি বলেন, গান্ধী পরিবারের হওয়ার কারনেই তাঁকে বলতে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। গান্ধী পরিবারের ভয়ঙ্কর অহংকার হয়ে গিয়েছে বলেও তোপ বিজেপি সাংসদের।
অন্যদিকে, সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, তিনি ভাষণে কী বলেন নি? রাহুল গান্ধী বলেন, একটি নয় দুটি ভারত রয়েছে। একটি হল অত্যন্ত ধনী ব্যক্তিদের জন্য, যাঁদের প্রচুর সম্পদ রয়েছে। তাঁদের চাকরির প্রয়োজন নেই। অন্যটি গরিবদের জন্য। রাহুল বলেন চেতনা জাগানো মানেই সমালোচনা নয়।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণে বিহারের কথা আসেনি। ভাষণে বেকারত্ব নিয়ে কোনও কথা ছিল না। ভারতের যুবকরা চাকরি চাইছে, যা এই সরকার দিতে পারেনি। শুধু তাই নয়, চিন-পাকিস্তান নিয়েও মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানান কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড।