হাথরাস ইস্যুতে দেশব্যাপী আন্দোলনের ডাক রাহুল গান্ধীর, যোগী সরকারকে নিলেন একহাত
ফের এদিন হাথরাস নিয়ে যোগী সরকারকে তোপ দাগলেন রাহুল গান্ধী। এদিন তিনি টুইটে লেখেন, 'হাথরাসের ঘটনায় সরকারের মনোভাব খুবই অনৈতিক ছিল। সরকার নির্যাতিতা পরিবারকে সাহায্য করার বদলে তাঁদের সঙ্গেই অপারাধীসুলভ আচরণ করেছে। অপরাধীদেরই বাঁচাতে চেয়েছে সরকার। আসুন দেশ জুড়ে মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায় এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দেই।'
হাথরাসের ঘটনা নিয়ে জলঘোলা
হাথরাসের এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে কম জলঘোলা হয়নি৷ পরিবারের অনুপস্থিতিতেই হাথরসের নির্যাতিতার শেষকৃত্য সেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল উত্তরপ্রদেশের পুলিশের বিরুদ্ধে। এমনকী, শেষকৃত্যের সময় পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছিল। সেরাতে কী ঘটেছিল তা আজ আদালতের লখনউ বেঞ্চে জানায় নির্যাতিতার পরিবার।
নির্যাতিতার পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস
রবিবারই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ নির্যাতিতার পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছিল। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপার। অন্যদিকে, আজ নির্যাতিতার গ্রামে যেতে পারে সিবিআই। এই আবহেই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এদিনই তারা এলাহাবাদ কোর্টে হাজির হন। এই নিয়ে আজ এলাহাবাদ কোর্টে বয়ান দেয় হাথরসের নির্যাতিতার পরিবার।
'স্পিক আপ ফর ওম্যান'
টুইটারে 'স্পিক আপ ফর ওম্যান' বলে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করেছে কংগ্রেস। সেখানে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন কংগ্রেস নেতা। সেখানে তিনি হাথরসের ধর্ষণ কাণ্ডে যোগী সরকারের সমালোচনা করেন। তাঁর দাবি, পুলিশ জোর করে তাঁকে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বাধা দেন।
আরও যা বলেন রাহুল
পাশাপাশি তিনি বলেন, 'আমি যখন নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করি তখনই বুঝতে পারি যে এই সরকার তাঁদের ওপর আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে। সরকারের কখনোই উচিৎ না দোষীদের রক্ষা করা। সরকারের কাছে আমার অনুরোধ, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এর বিচার করা হোক।'
প্রত্যেকের পরিবর্তন আনা প্রয়োজন
সমাজে মহিলাদের সুরক্ষার জন্য প্রত্যেকের পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলেও বলেন তিনি। মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, 'সমাজের পরিবর্তন দরকার। এর জন্য আমাদের সরকারের ওপর চাপ দেওয়া প্রয়োজন।' উল্লেখ্য, হাথরাসের গণধর্ষণ এর ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিরোধীরা। কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলোর তোপের মুখে পড়েন যোগী সরকার। এমনকি, নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গেও দেখা করতে বাধা দেওয়া হয় রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে।