মোদীর হৃদয়ে কারা, কারা মোদীর ‘ভাই’, মধ্যপ্রদেশে ভোট প্রচারে তালিকা দিলেন রাহুল
মোদীর হৃদয়ে কাদের স্থান আর কারা নেই, সবার নাম ধরে ধরে জানিয়ে দিলেন রাহুল গান্ধী। মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে রাহুলের নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই।
মোদীর হৃদয়ে কাদের স্থান আর কারা নেই, সবার নাম ধরে ধরে জানিয়ে দিলেন রাহুল গান্ধী। মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে রাহুলের নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই। তাঁর নিশানায় এক নম্বরে নরেন্দ্র মোদী। তারপর একে একে তিনি সমালোচনা বিদ্ধ করলেন মোদীর অন্য-ভাইদেরও। বললেন, সুট-বুটওলারাই মোদীর ভাই, বাকিরা নন।
মোদীর হৃদয়ে কারা
রাহুল গান্ধী মধ্যপ্রদেশের ডাটিয়ায় এক নির্বাচনী জনসভা থেকে এক হাত নেন মোদীকে। তিনি বলেন, মোদীজির হৃদয়ে শুধু শিল্পপতিদের স্থান। সেখানে আছেন মেহুল ভাই, নীরব ভাই, অনিল ভাই, ললিত ভাই। একমাত্র এইসব সুটেড-বুটেড ম্যানরাই তাঁর ভাই। বাকিরা নন।
|
কাদের স্থান নেই মোদীর হৃদয়ে
যাঁদের সুট-বুট নেই, তাঁরা মোদীর ভাই নন। তাই নির্যাতিতা নারীদের ঠাঁই নেই তাঁর হৃদয়ে। ঠাঁই নেই কৃষকদের, ঠাঁই নেই শ্রমিক শ্রেণির মানুষের। রাহুল বলেন, কখনও কি শুনেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে গরিব ভাই বলে ডাকতে। শোনেননি, কখনই শুনবেন না ওই ডাক।
|
একবারমাত্র পিএমও-তে রাহুল
মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে রাহুল বলেন, আমি একবার মাত্র প্রধানমন্ত্রীর দফতরে গিয়েছিলাম। কৃষকদের কথা বলতে গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, কৃষকরা আপনার কাছে আবেদন করছে কৃষি ঋণ লাঘব করতে। বলেছিলাম, আপনি তো পুঁজিপতিদের ঋণ লাঘব করে দিচ্ছেন, এবার কৃষকদের দাবিটা মিটিয়ে দিন না। তিনি কোনও উত্তর দেননি।
|
‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ খোঁচা রাহুলেরও
রাহুল বলেন, মোদীজি ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও' স্লোগান তুলেছিলেন। ওই স্লোগান আমারও বেশ পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু যখন দেখলাম একজন বিজেপি বিধায়ক ধর্ষণ করল, আর মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আড়াল করার চেষ্টা করলেন আর প্রধানমন্ত্রী নীরব ভূমিকা পালন করতে লাগলেন, তখন ভাবলাম আসল স্লোগান হল- ‘বেটি পড়াও আউর বেটি কো বিজেপি কে এমএলএ সে বাঁচাও'।
মধ্যপ্রদেশেও মন্দিরমুখী রাহুল
মধ্যপ্রদেশে ভোট প্রচার শুরু করার আগে মন্দিরে গেলেন রাহুল গান্ধী। তিনি মন্দিরে পুজো দিয়েই শুরু করলেন তাঁর প্রচারাভিযান। ভোটের বাদ্যি বেজে যেতেই শুরু ধর্মের রাজনীতি। বিজেপি বলে আমায় দেখ তো, কংগ্রেস বলছে আমায় দেখ। এই অবস্থায় হিন্দুদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে মধ্যপ্রদেশের পীতাম্বরা শক্তিপীঠে পুজো দিলেন রাহুল।
|
গুজরাট-কর্ণাটকের পর মধ্যপ্রদেশ
এর আগে গুজরাট ও কর্ণাটকেও বিধানসভার প্রচার শুরু করার সময় মন্দিরের পুজো দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এবারও তিনি মন্দিরে পুজো দিয়েই শুরু করলেন প্রচার। বিজেপিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন। বিজেপির হিন্দু ভোটে ভাগ বসাতে রাহুলের এই নয়া প্রয়াস এবার মধ্যপ্রদেশে কতটা কার্যকর হয়, তা বলবে ভবিষ্যৎই। রাহুল কিন্তু চেষ্টার কসুর করছেন না।
রাহুলের প্রচারে মিলে গেল দুই শিবির
মধ্যপ্রদেশের মাটিতে রাহুলের পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই শিবির মিলে গেল এক মঞ্চে। রাহুলের মন্দির-যাত্রার পথ হোক বা জনসভা, এদিন পাশাপাশি দেখা গেল কমলনাথ ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে। দুই শিবিরের মিলে যাওয়া কংগ্রেসের পক্ষে সুখকর হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, এই রাজ্যে ১৫ বছর ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। এবার এখানে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জের জায়গায় রয়েছে কংগ্রেস।
পূর্বসূরিদের পথ ধরে পীতাম্বরা শক্তিপীঠে রাহুল
এর আগে ইন্দিরা গান্ধী থেকে শুরু করে রাজীব গান্ধী মধ্যপ্রদেশের দাটিয়ায় পুজো দিয়েই শুরু করতেন প্রচার। এবার উত্তরসূরি রাহুল গান্ধীও একই পথ ধরলেন। মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচার ও জনসভা শুরুর আগে শক্তিপীঠে হিন্দু আচার মেনে পুজো দিলেন। সঙ্গে ছিলেন কমলনাথ ও জ্যোতিরাদ্যিত্য সিন্ধিয়া। সব মিলিয়ে মধ্যপ্রদেশে বিজেপিকে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলাই রাহুলের উদ্দেশ্য।
{document1}