ইরাকে ৩৯ ভারতীয়ের মৃত্যুর ব্যর্থতা চাপা দিতেই 'কেমব্রিজ'! মোদী সরকারকে তোপ রাহুলের
ইরাকের মাসুলে ভারতীয়দের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তা ধামা চাপা দিতেই কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা প্রসঙ্গ সামনে এনেছে মোদী সরকার। প্রসঙ্গ নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার একদিন পর টুইটে এমনটাই মন্তব্য করেন রাহুল।
ইরাকের মাসুলে ভারতীয়দের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তা ধামা চাপা দিতেই কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা প্রসঙ্গ সামনে এনেছে মোদী সরকার। প্রসঙ্গ নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার একদিন পর টুইটে এমনটাই মন্তব্য করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
টুইটারে রাহুল গান্ধী বলেছেন, সমস্যা ৩৯ জন ভারতীয়ের মৃত্যু। বিষয়টি নিয়ে সরকার মিথ্যা কথা বলছিলই। উপায় কংগ্রেসকে জড়িয়ে তথ্য চুরির গল্প। ফলাফল মিডিয়ার নজর ঘুরে যাওয়া। ৩৯ জন ভারতীয়ের মৃত্যুর প্রসঙ্গ এইভাবেই ভ্যানিশ করে দেওয়া হল। এই ভাষাতেই কটাক্ষ করেছেন রাহুল গান্ধী।
বুধবার কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সাংবাদিক বৈঠকে তথ্য চুরি নিয়ে অভিযোগ তোলায় এবং কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার নাম নেওয়ায় বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে বাক যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। রবিশঙ্কর প্রসাদের অভিযোগ ছিল ২০১৯ সালে ভোটে লড়াইয়ের জন্য তথ্য চুরি করে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সাহায্য নিচ্ছে কংগ্রেস।
Problem: 39 Indians dead; Govt on the mat, caught lying.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) March 22, 2018
Solution: Invent story on Congress & Data Theft.
Result: Media networks bite bait; 39 Indians vanish from radar.
Problem solved.
বৃহস্পতিবার আক্রমণ বজায় রাখেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। এদিন তাঁর অভিযোগ, গুজরাত ভোটে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সাহায্য নিয়েছিল কংগ্রেস।
অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে কংগ্রেস বলেছে বিজেপির এই অভিযোগ তাদের কারখানায় তৈরি ভেজাল খবর।
কংগ্রেস মুখপত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা অভিযোগ করেছেন, ব্রিটিশ সংস্থার ভারতীয় শাখা ওভলেনো বিজনেস ইন্টেলিজেন্স বা ওবিআই-কে ব্যবহার করেছে বিজেপি। বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনের সময় এই এবিআইকে ব্যবহার করা হয়েছে। ওবিআই-এর মালিক বিজেপি নেতা কেসি ত্যাগীর ছেলে ওমরিশ ত্যাগী। ২০১০ সালে বিহার বিধানসভার নির্বাচনে জেডিইউ এবং বিজেপি জোটের হয়ে তথ্য বিশ্লেষণের কাজ করেছিল এই ওবিআই সংস্থা।
কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করার পরও অবশ্য ওবিআই-এর ওয়েবসাইটটি চালু ছিল। সেখানে সংস্থার এক ডিরেক্টরের পোস্টে লেখা ছিল কী ভাবে কঠিন পরিশ্রম করে তাঁরা ২০১৪-র নির্বাচনে বিজেপি-র মিশন ২৭২কে সফল করেছেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয় সংস্থার ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল সাইটের সব অ্যাকাউন্ট।