বাংলায় বিজেপির বাড়বাড়ন্ত কীভাবে? তৃণমূল সাংসদদের কাছে জানতে চাইলেন রাহুল গান্ধী
আর তাই তো বুধবার লোকসভায় বিরোধী আসনে তৃণমূল দুই সাংসদ সৌগত রায় এবং কাকলি ঘোষদস্তিদারের কাছে এগিয়ে গেলেন। পাশে বসে প্রায় মিনিট ৪৫ কথা বললেন দুই তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে।
কিন্তু কী এত আলোচনা করলেন তৃণমূলের দুই প্রবীন সাংসদের সঙ্গে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন কংগ্রেস-তৃণমূলের আলোচনার বিষয় ছিল বিজেপি। কীভাবে আচমকা বাংলায় বিজেপির উত্থান তাই ছিল এই আলোচনার মুখ্য বিষয়।
২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পাশাপাশি বিজেপির পক্ষে বিপুল জনমতে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় এসেছে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা মিলবে কী মিলবে না সে নিয়ে সংশয় থাকলেও এনডিএ সরকার যে এবার কেন্দ্রে বসবে সে নিয়ে কোনও দ্বিমত ছিল না।
প্রায় ৪৫ মিনিট তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ও কাকলি ঘোষদস্তিদারের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল
বাংলায় এতদিন তৃণমূল কংগ্রেস আর বামেদের মধ্যেই ছিল মূল বিরোধীতা। গোটা ছবিতে বিজেপি কোথাও ছিল না। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থনে শুধুমাত্র পাহাড়ের একটি আসন নিয়ে ছিল বিজেপি। বাংলার রাজনৈতিক পটভূমিতেও কোনও উপস্থিতিই ছিল না পদ্ম দলের। কিন্তু এবারের লোকসভা ভোটে যে শুধু নিজেদের দার্জিলিং আসনটি অক্ষত রেখেছে বিজেপি তাই নয়, উপরন্তু আসানসোলে আরও একটি আসনেও জিতেছে। ফলে বাংলায় আপাতত গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ আসন পেয়েছে বিজেপি। এখানেও শেষ নয়, ভোট ভাগের হার ৬ শতাংশ থেকে টেনে ১৭ শতাংশে নিয়ে এসেছে তারা।
ফলে স্বভাবতই বাংলার রাজনীতিতে আচমকাই ঢুকে পড়েছে বিজেপি। এখন তো যা পরিস্থিতি, বাংলায় সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ লুপ্তপ্রায় হয়ে সেখান জায়গা করে নিচ্ছে বিজেপি-তৃণণূল সংঘর্ষ। কিন্তু হঠাৎ এমনটা হল কী করে।এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজাই চেষ্টা করছিলেন রাহুল গান্ধী। এছাড়াও বেশে কিছু হাল্কা মেজাজের আলোচনাও এই ত্রয়ী করেন বলে সূত্রের তরফে খবর।