তেজস্বীর মঞ্চে বিরোধী ঐক্যে নেতৃত্ব রাহুলের! দিল্লির যন্তরমন্তরে ফের মহাজোট-শো
দিল্লির যন্তরমন্তরে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের ডাকে প্রতিবাদ সভা আক্ষরিক অর্থেই আরও একটা মহাজোট-শো’র রূপ নিল। তেজস্বীর মঞ্চে উপস্থিত হলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
দিল্লির যন্তরমন্তরে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের ডাকে প্রতিবাদ সভা আক্ষরিক অর্থেই আরও একটা মহাজোট-শো'র রূপ নিল। তেজস্বীর মঞ্চে উপস্থিত হলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি তেজস্ব যাদবের যন্তরমন্তরের সভা থেকে নারী সমাজকে মর্যাদাদানের বার্তা দেন। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তৃণমূল নেতা দীনেশ ত্রিবেদী, লোকতান্ত্রিক জনতা দলের নেতা শরদ যাদব, সিপিআই নেতা ও অন্যান্য দলের নেতৃবর্গও।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে আরএসএস ও বিজেপিকে পরাজিত করতে বিরোধী ঐক্যের ডাক দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। সেই লক্ষ্যে তিনি বিভিন্ন রাজ্যে একের বিরুদ্ধে এক লড়াইয়ের ক্ষেত্র তৈরি করছেন। কর্ণাটক বিধানসভায় শপথ গ্রহণের মঞ্চ থেকেই সলতে পাকানো শুরু হয়েছিল। তার সূত্র ধরেই যন্তরমন্তরে তেজস্বীর সভাতেও বাজল জোটের দামামা।
বিহারে ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে দিল্লির যন্তরমন্তরে প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছিলেন আরজেডি নেতা লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব। সেই সভায় আহ্বান করা হয়েছিল কংগ্রেস থেকে শুরু করে তৃণমূল-সহ সমস্ত বিরোধী দলকে। যন্তরমন্তরের সভায় সমস্ত দলের উপস্থিতি মোদী বিরোধী জোট-বার্তা দিল আবার। একই মঞ্চে দেখা গেল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও তৃণমূল নেতা দীনেশ ত্রিবেদীকে।
সম্প্রতি তেজস্বী যাদবই প্রথম সুর তুলেছিলেন বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে। তিনি বলেছিলেন, রাহুল গান্ধী একা নন, বিরোধী জোটের অনেকেই প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মায়াবতী, শারদ পাওয়ার- অনেকেই হতে পারেন বিরোধী জোটের মুখ। তারপরই রাহুল গান্ধী মত প্রকাশ করেন, মমতা বা মায়াবতীর মতো কাউকে মেনে নিতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।
পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যৌথ নেতৃত্বের কথা বলেন। এমনকী ১০ জনপথে রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেও তিনি বলেন একক নেতৃত্ব নয়, আমরা যৌথ নেতৃত্ব মেনে চলব। আমরা সবাই রাজা। ভোটের পরবর্তী পর্যায়েই আমরা সিদ্ধান্ত নেব কে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন।
সেইমতো কংগ্রেসের তরফেও এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়, ভোট শেষ হওয়ার আগে তাঁরা জানাবেন না, বিরোধীরা জিতলে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী! তার কারণ কংগ্রেসের এক ও একমাত্র লক্ষ্য বিজেপি ও আরএসএসকে হারানো। তাই তাঁরা চান না কাউকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে জোটের মধ্যে বিভাজনের সৃষ্টি হোক। ভোটের ফলাফলের উপর ভিত্তি করেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী স্থির করা হবে। এবং তা হবে সর্বসম্মতভাবে।