সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে যন্তরমন্তরে কৃষকদের পাশে হাজির বিরোধীরা, রাহুল বললেন 'কালা কানুন'
কৃষি বিল নিয়ে বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দল। আজ সেই ইস্যুতে কৃষকদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানাতে যন্তর মন্তরে হাজির হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী সহ একাধিক বিরোধী দলের নেতা। সবার হ
কৃষি বিল নিয়ে বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দল। আজ সেই ইস্যুতে কৃষকদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানাতে যন্তর মন্তরে হাজির হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী সহ একাধিক বিরোধী দলের নেতা। সবার হাতেই ছিল, 'কৃষি বাঁচাও, দেশ বাঁচাও' লেখা প্ল্যাকার্ড।
সেখানে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া কৃষি বিলকে 'কালা কানুন' বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। এ দিন যন্তর মন্তরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, 'আমরা পেগাসাস নিয়ে আলোচনা চাই ঠিকই, তবে কেন্দ্র তা হতে দিচ্ছে না। নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রত্যেকটা ফোনে আড়ি পেতেছে।'
কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার বলেন, 'যদিও ওরা সত্যিই কৃষি বিল নিয়ে এত বেশি উদ্বিগ্ন হন, তাহলে লোকসভা ও রাজ্যসভায় এই আইন নিয়ে আলোচনা রাজি কেন্দ্র। তাঁর দাবি, বিরোধীরা কথা বলরে রাজি নয়, শুধু মিডিয়ার লাইমলাইট টানতেই ব্যস্ত।' কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, কৃষি আইন না তুলে নিলে বিরোধীরা অধিবেশন চালাতে দেবে না।
অন্যদিকে, এ দিনের আন্দোলন কর্মসূচিতে যোগ দেয়নি তৃণমূল, বিএসপি ও আপ। আজ, শুক্রবার সকালে আম আদমি পার্টির তরফ থেকে জানানো হয় যে তারা এই আন্দোলনে তখনই যোগ দেবে, যদি আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।
আপ নেতা সুশীল কুমার গুপ্তা বলেন, 'যদি বিরোধীদের আন্দোলনের নেতৃত্বে রাহুল গান্ধীর মতো নেতা থাকেন, তাহলে আমরা কেন যাব? উনি তো কৃষক আন্দোলনের ইস্যুকে তুলে ধরতেই পারেননি।' গত ২২ জুলাই থেকে ২০০ জন কৃষক প্রতিবাদ জানাচ্ছেন যন্তর মন্তরে। কেন্দ্রীয় সরকারের আনা নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বাদল অধিবেশন চলাকালীন প্রত্যেকদিন তারা কিষাণ সংসদ চালাচ্ছে।
এ দিকে, বৃহস্পতিবার 'সংযুক্ত কিষায় মোর্চা'র তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংসদে বিভিন্ন বিষ্য নিয়ে বিতর্কে অংশ নিচ্ছে, কিন্তু কৃষকদের চাহিদার কথা তুলে ধরা হচ্ছে না। জনবিরোধী অবস্থান যাতে না নেওয়া হয়, তার জন্যও সতর্ক করেছেন তিনি।
কৃষকদের এই সংগঠনের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'দেখা যাচ্ছে বিজেডি, টিআরএস, ওয়াইএসআরসিপি, টিডিপি, জেডিইউ-র মতো দলগুলি বিভিন্ন বিল নিয়ে আলোচনা করছে। তবে তার মধ্যে কৃষি আইন নেই। ৪০ টি কৃষক ইউনিয়নের মাথায় রয়েছে এই 'সংযুক্ত কিষায় মোর্চা'।
গত ১৪ জুলাই তারা একটি পিপলস হুইপ জারি করে, যাতে সব সাংসদদের কৃষকদের চাহিদার কথা তুলে ধরতে বলা হয়। কৃষকদের দাবির মধ্যে রয়েছে কৃষি আইন তুলে নেওয়া ও এমএসপি নিশ্চিত করা।