২০১২ সালে রাহুল গান্ধীর সামনেও এসেছিল প্রধানমন্ত্রিত্বের সুযোগ
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সামনেও এসেছিল প্রধানমন্ত্রিত্বের সুযোগ। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বিজেপির কাছে পর্যুদস্ত হয়। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেন।
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সামনেও এসেছিল প্রধানমন্ত্রিত্বের সুযোগ। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জাতীয় কংগ্রেস বিজেপির কাছে পর্যুদস্ত হয়। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেন। কিন্তু এর দুবছর আগে মনমোহন সিং-এর কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ এসেছিল রাহুল গান্ধীর সামনে।
সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে আলোচনা
২০১৪-র নির্বাচনের বছর দুই আগে বর্যীয়ান কংগ্রেস নেতারা এবং ইউপিএ-তে থাকা কংগ্রেসের সহযোগী দলের নেতারা এব্যাপারে সনিয়া গান্ধীকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মনমোহন সিং-এর জায়গায় রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। তবে এর কারণ হিসেবে যা উছে আসছে তা হল, মনমোহন সিম কাজ সামলাতে পারছেন না তা নয়, বর্ষীয়ান নেতাদের মত ছিল নতুন নেতাকে সামনে রেখে নির্বাচনে যাওয়া ভাল।
সনিয়ার সঙ্গে কথা বলেছিলেন এন করুনানিধি
সরকারের শীর্ষ আসনে পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে যাঁরা কথা বলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন, তৎকালীন ডিএমকে প্রধান এম করুনানিধি। সনিয়া গান্ধীকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি সহ অনেকেই। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি সদস্য কে এইচ মুনিয়াপ্পা।
প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন সনিয়া
কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন সনিয়া গান্ধী। সনিয়া বলেছিলেন, সরকারের নেতৃত্ব পরিবর্তনের উপযুক্ত সময় সেটা নয়।
পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালে একক বড় দল থেকে আসন সংখ্যা কমে দুডিজিটে চলে যায় কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেন নরেন্দ্র মোাদী। ২০১৯-এও একই পরিস্থিতি।
কংগ্রেস নেতার সমালোচনা
কে এইচ মুনিয়াপ্পা, যিনি সেই সময় সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে প্রথম কথা বলেছিলেন, সূত্রের খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে তিনি বলেছেন, দল সুযোগ ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই মুহুর্তে রাহুল গান্ধীকে ফের সভাপতির পদে ফিরিয়ে আনা হোক, এটাই চাইছেন তারা।