প্রয়োজনে ৫ হাজার ঘণ্টা অপেক্ষা করতে রাজি, রাহুলের চ্যালেঞ্জে পিছু হটল হরিয়ানা পুলিশ
প্রয়োজনে ৫ হাজার ঘণ্টা অপেক্ষা করতে রাজি তিনি। এদিন পাঞ্জাব পরিয়ানা সীমান্তে রাহুল গান্ধীকে আটকানো হলে এভাবেই বিজেপিকে চ্যালেঞঅজ ছুঁড়ে দেন রাহুল গান্ধী। এদিন খেতি বাঁচাও যাত্রায় তিনি পাঢ্জাব থেকে হরিয়ানায় ঢুকতে চাইলে তাঁকে আটকানো হয়। এরপর সেখানেই দাঁড়িয়ে পড়েন রাহুল গান্ধী এবং অন্যান্য কংগ্রেস কর্মীরা। পরে অবশ্য ১০০ জনকে হরিয়ানাতে মিছিল করার অনুমতি দেওয়া হয়।
এই আইন দেশের কৃষি পরিকাঠামোকে ধ্বংস করবে
এদিন রাহুল বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন এই আইন দেশের কৃষি পরিকাঠামোকে ধ্বংস করে দেবে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা। রাহুল গান্ধী ছাড়ও আজকের সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, হরিশ রাওয়াত ও পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুনিল জাখর।
আমাদের যাত্রা মোদীর তিনটি কালা আইনের বিরুদ্ধে
সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, 'আমাদের যাত্রা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তিনটি কালা আইনের বিরুদ্ধে। দেশের কৃষি ও খাদ্য সুরক্ষার বর্তমান যে পরিকাঠামো রয়েছে তাকে ধ্বংস করে দেবে এই আইনগুলি। যদি এই পরিকাঠামো একবার ভেঙে যায় তবে আগামীদিনে পাঞ্জাব এর থেকে বেরোনোর কোনও পথ পাবে না।'
সরকারের 'কৃষক বিরোধী' চেহারা তুলে ধরার চেষ্টা
কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ২৪ সেপ্টেম্বর থেকেই দেশজুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলনে নেমেছে কংগ্রেস। যা ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে জানানো হয়েছে। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, এই কিষাণ যাত্রার লক্ষ্য কৃষি আইনের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান এবং কেন্দ্রীয় সরকারের 'কৃষক বিরোধী' চেহারা তুলে ধরা।
এনডিএ জোট থেকে বেরিয়া যায় অকালি দলও
সম্প্রতি কৃষকদের (ক্ষমতায়ন ও সুরক্ষা) মূল্য আশ্বাস ও কৃষি পরিষেবা বিল-২০২০, কৃষি উৎপাদন ও বাণিজ্য বিল-২০২০ এবং প্রয়োজনীয় পণ্য (সংশোধনী) বিল-২০২০ সংসদে পাশ হয়। এরপর তাতে সই করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এই আইনগুলির বিরুদ্ধেই সরব হয়েছে বিরোধীরা। এমনকী এনডিএ জোট থেকে বেরিয়া যায় অকালি দলও।