মমতাকে দিল্লির মসনদ ছাড়তে রাজি রাহুল! কুর্সি নয়, মোদীকে ক্ষমতাচ্যুত করাই লক্ষ্য
দিল্লির মসনদ থেকে নরেন্দ্র মোদীকে হটানোই মুখ্য উদ্দেশ্য কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর। সেই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লির কুর্সি ছাড়তেও রাজি তিনি।
দিল্লির মসনদ থেকে নরেন্দ্র মোদীকে হটানোই মুখ্য উদ্দেশ্য কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর। সেই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লির কুর্সি ছাড়তেও রাজি তিনি। রাহুলের কথায়, নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি ও আরএসএসকে হারাতে যে কোনওরকম স্বার্থত্যাগ করতে তিনি রাজি। এমনকী জোট যদি জেতে তাহলে নির্দ্বিধায় প্রধানমন্ত্রীর পদ তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা মায়াবতীকে ছে়ড়ে দিতে তৈরি।
কংগ্রেস হাইকম্যান্ড সূত্রে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের দিনেই আভাস মিলেছিল, রাহুল গান্ধীর প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়া নির্ভর করছে, কংগ্রেস ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে কত আসন দখল করতে পারে তার উপর। কংগ্রেস যদি ২০০ আসন পায়, তবে রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতেই পারেন। তবে রাহুল গান্ধী নিজে জানিয়েছেন, বিজেপি ও আরএসএসকে হারাতে যে কোনও রকম সমঝোতায় তিনি রাজি। প্রধানমন্ত্রী পদও ছাড়তে রাজি।
কংগ্রেস সভাপতি বলেন, আমার প্রধান লক্ষ্য হল মোদীকে ক্ষমতাচ্যুত করা আর বিজেপি-আরএসএসকে রোখা। তার জন্য তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনও দরকার নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মায়াবতী, শরদ পাওয়ার-রা রয়েছেন। প্রয়োজনে তাঁরা বসে ঠিক করতে পারেন কে হবেন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। এদিন নমনীয় হয়ে রাহুল গান্ধী যা জানালেন, তাতে বিরোধী জোট আরও পোক্ত হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Congress Party President Rahul Gandhi said he would support any candidate who will defeat the Bharatiya Janata Party and Rashtriya Swayamsevak Sangh
— ANI Digital (@ani_digital) July 24, 2018
Read @ANI Story | https://t.co/Fug82G0lSD pic.twitter.com/sLqi3TuWL8
কর্ণাটকে মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, বিরোধী জোট জিতলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হতেই পারেন। এরপর রাহুলের সেই মন্তব্য নিয়ে বিজেপি পাল্টা প্রচার শুরু করেছিল। কিন্তু কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে তাণঁকে বিরোধী জোটের মুখ বেছে নেওয়ার পরও রাহুলের এই নমনীয় মনোভাব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপিকে চাপে ফেলে দিল বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
[আরও পড়ুন: রাহুলের দলের পাল্টা! মোদীর বিরুদ্ধে 'অসত্য' ভাষণের অভিযোগে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব]
রাহুল এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ, বিহারে মহাজোট গড়া তাঁর লক্ষ্য। এই দুই রাজ্যে বিজেপিকে হারাতে পারলেও অর্ধেক কাজ সারা হয়ে যাবে। কারণ উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও বিহার থেকেই বিজেপি একা ৯৮টি আসন জিতেছিল। তিনি নিশ্চিত মহাজোট হলে বিজেপি এখানে হারবেই। সাম্প্রতিক কালের উপনির্বাচন সেই ইঙ্গিতই দিয়েছে। আর সেই আঙ্গিকে রাহুলের স্বার্থত্যাগের বার্তা আরও একটা মাস্টারস্ট্রোক।